বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিয়ের আসর থেকে বর চলে যাওয়ায় কনের আত্মহত্যা

  •    
  • ২ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৮:২৯

বিয়ে ভেঙে চলে যাওয়ার পর ফের বিয়ের জন্য কনেপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে বরপক্ষ। তবে সেবার মেয়েপক্ষ আর রাজি হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ঘটনার চার দিন পর শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের ঘরে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তুলি।

বিয়েতে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির জেরে বিয়ে না করেই চলে যায় বরপক্ষ। এ ঘটনার চারদিন পর আত্মহত্যা করেছেন কনে।

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার লতা ইউনিয়নের মুনকিয়া গ্রামে শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।

হত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে মেয়ের বাবা ঠাকুরদাস মণ্ডল শনিবার সন্ধ্যায় পাইকগাছা থানায় একটি মামলা করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার (২৭ নভেম্বর) উপজেলার লতা ইউনিয়নের মুনকিয়া গ্রামের তুলি মণ্ডলের সঙ্গে সুদীপ্ত বটিয়াঘাটা উপজেলার কাইয়ুমখোলা গ্রামের বিষ্ণুপদ মণ্ডলের ছেলে সুদীপ্ত মণ্ডলের বিয়ের আয়োজন করা হয়। গোধূলিলগ্নে বিয়ের কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বরপক্ষ রাত ৯টার দিকে বিয়েবাড়িতে পৌঁছায়। গোধূলিলগ্ন পার হয়ে যাওয়ায় রাত ১২টা বা ৩টার লগ্নে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করতে চেয়েছিল কনেপক্ষ। ছেলেপক্ষ তাতে রাজি না হয়ে রাত ১০-১১টার মধ্যে বিয়ের কাজ শেষ করতে বলে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন না করেই চলে যায় বরপক্ষ।

পরবর্তীতে বিয়ের জন্য কনেপক্ষের সঙ্গে পুনরায় যোগাযোগ করে বরপক্ষ। তবে সেবার মেয়েপক্ষ আর রাজি হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ঘটনার চার দিন পর শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের ঘরে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তুলি।

তুলির মামা প্রসেন মল্লিক বলেন, ‘আমরা আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে ঠিক করেছিলাম। পরে ছেলে ও মেয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলত। একপর্যায়ে তারা নিজেরা বিয়ের রেজিস্ট্রি করে ফেলে। তবে অনুষ্ঠানের দিনে বরপক্ষের একগুঁয়েমির কারণে বিয়ে হয়নি। পরে আমরা আর ওই ছেলের সঙ্গে আমাদের মেয়ে বিয়ে দিতে চাইনি। ফলে তুলি ডিপ্রেশনে চলে যায়। যে কারণে সে আত্মহত্যা করেছে।’

পাইকগাছা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সুরতহাল রিপোর্ট শেষে মরদেহ খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ময়নতদন্ত করা হয়। পরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলে তারা সৎকার করেছেন। হত্যা প্ররোচনা মামলাটির তদন্ত চলছে।’

এ বিভাগের আরো খবর