আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কারণ দর্শানোর লিখিত জবাব দিয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সদ্যসাবেক অধিনায়ক ও মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সাকিব আল হাসান। হাজিরা শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিজের করা ভুলের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি।
নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে শুক্রবার বিকেল ৪টায় সাকিবকে লিখিত জবাবসহ সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। এ দিন বিকেল পৌনে চারটায় তিনি আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন সাকিবের আইনজীবী জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাজিদুর রহমান সংগ্রাম।
পরে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির প্রধান মাগুরার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক সত্যব্রত শিকদারের দপ্তরে কমিটি প্রায় এক ঘণ্টা ধরে সাকিবের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সাকিব।
মাগুরা-১ আসনে নৌকার টিকিট পাওয়া সাকিব বলেন, ‘গত ২৯ তারিখে আমি ঢাকা থেকে মাগুরায় আসলে আমার ভক্তসহ শহরবাসী আমাকে শুভেচ্ছা জানান। এতে নির্বাচনি বিধি ভঙ্গ হয়েছে। এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এবং এর জন্য আমি খুবই দুঃখিত। আমি নির্বাচনি আইনের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল। তবে নির্বাচনে এই প্রথম ও নতুন। আগামীতে যেন এরকম ঘটনা না ঘটে সেদিকে আমি দৃষ্টি রাখব।’
এ বিষয়ে সাকিবের আইনজীবী সাজেদুর রহমান সংগ্রাম বলেন, ‘২৯ নভেম্বর সাকিব আল হাসান মাগুরায় আসেন। তখন কামারখালী এলাকায় জমা হয় তার ভক্ত ও উৎসুক জনতা। সেখানে ভক্ত ও সাধারণ জনতা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। সেখানে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না; দলীয় কাউকে তিনি ডাকেননিও। আমরা নোটিশের জবাবে এসব কথা উল্লেখ করেছি। ভবিষ্যতে আমরা এসব বিষয়ে সতর্ক থাকব। আইন মেনে চলব।’
মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীতা পেয়ে গত ২৯ নভেম্বর সাকিব ঢাকা থেকে মাগুরায় ফেরেন। এদিন দুপুরে তাকে মাগুরার প্রবেশমুখে ওয়াপদা বাজার এলাকায় হাজার হাজার মানুষ অভ্যর্থনা জানান। পরে মাগুরা শহরে আছাদুজ্জামান স্টেডিয়ামে নাগরিক গণসংবর্ধনা দেয়া হয়। এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর ৩০ নভেম্বর নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচন আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ এনে সাকিবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়।