সকাল-সন্ধ্যা হিমেল হাওয়া এসে লাগলেও গা গরম রাখার পোশাকের কাটতি বাড়েনি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে।
সরকারি ছুটির দিন শুক্রবার উপজেলার কয়েকটি বাজারের বিভিন্ন দোকানে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
উপজেলার ভানুগাছ, শমশেরনগর ও পতনঊষার বাজারের দোকানগুলোতে দেখা যায়, শীতের পোশাক সাজিয়ে রেখেছেন কাপড় ব্যবসায়ীরা, তবে বেচাকেনা তেমন হচ্ছে না।
বিক্রি জমজমাট হওয়ার প্রত্যাশায় আছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের ভাষ্য, শীতের শুরুতে গরম কাপড় কেনার প্রবণতা এবার কম। তাই চাহিদা নেই বললেই চলে। ঘুরতে এসে কেউ কেউ কিনছেন ছোটদের শীত কাপড়।
বড় ব্যবসায়ীরা জানান, সাধারণত শীতের কাপড় বিক্রির বাজার জমে ওঠে অক্টোবরের শেষে ও নভেম্বর মাসে, তবে এবার এখনও ব্যবসা জমেনি।
ফুটপাতের খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, শীতের গরম কাপড়ের ব্যবসা মূলত হয় নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে। এ মাসে ভালো বেচাবিক্রির আশা করছেন তারা।
খুচরা বিক্রেতারা আরও জানান, শীত বাড়েনি বলে গরম কাপড়ের বিক্রি বাড়েনি। এ ছাড়া স্বাভাবিক বিক্রি কম হওয়ার পেছনে হরতাল-অবরোধের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচির প্রভাবও রয়েছে।
কেন বিক্রি কম জানতে চাইলে কমলগঞ্জের পতনঊষার বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী মাইদুল ইসলাম বলেন, ‘শীতের সিজনে প্রতিদিন বিক্রি করতাম ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। সারা দিনে এখন বিক্রি হয় এক থেকে দুই হাজার টাকা। আবার সব দিন এ রকম বিক্রিও হয় না।
‘হরতাল-অবরোধের কারণে বেচাকেনা অনেক কম। দোকান ভাড়া ও কর্মচারীদের বেতন দেওয়া মুশকিল হয়ে পড়েছে।’ভানুগাছ বাজারের মা মনি বস্ত্রালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মো. সোলাইমান বলেন, ‘হরতাল-অবরোধের কারণে বেচাকেনা কম হচ্ছে। দূরদুরান্ত থেকে এই এলাকায় মানুষ ঘুরতে এসে এসব পোশাক কিনে নেন, কিন্তু হরতাল-অবরোধের কারণে মানুষ তেমন আসছেন না। এ কারণে আমাদের বিক্রিও বাড়ছে না।
‘গ্রামগঞ্জের মানুষ কতই আর কেনাকাটা করবে। আমাদের পণ্য বিক্রির বেশির ভাগ ক্রেতা দূরদুরান্তের মানুষরাই।’
তিনি জানান, স্থানীয়ভাবে যেসব ক্রেতা আসছেন, তারা শিশুদের জন্য কিছু কাপড় কিনে চলে যাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার দরদাম পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকছেন।