আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ১৫১জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষদিন বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগসহ ২২টি রাজনৈতিক দল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এসব মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এ সময় অনেক প্রার্থীকে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে শোডাউন দিতে দেখা যায়।
চট্টগ্রাম রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে ৮ জন, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে ১৪ জন, চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে ১০ জন, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে ৯ জন, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে ১০ জন, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে ৫ জন, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে ৭ জন, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালি-চান্দগাঁও) আসনে ১৩ জন, চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসনে ৭ জন, চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনে ১২ জন, চট্টগ্রাম-১১ (পতেঙ্গা-বন্দর) আসনে ৯ জন, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে ১০ জন, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে ৭ জন, চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে ৮ জন, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে ৯ জন ও চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে ১৩ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চট্টগ্রামের সবগুলো আসনে প্রার্থী রয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ১৫টি আসনে; বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ১১টি আসনে; তৃণমূল বিএনপি ১০টি আসনে; বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) ৯টি আসনে; বিএনএফ ৬টি আসনে; ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ৫টি আসনে; বাংলাদেশ কংগ্রেস, জাসদ ও কল্যাণ পার্টি ৪টি আসনে; ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ২টি আসনে এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাকের পার্টি, গণফোরাম, বিএনএম, ও খেলাফত আন্দোলন ১টি করে আসনে প্রার্থী দিয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন আসনে বেশ কিছু স্বতন্ত্র প্রার্থীও রয়েছেন।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা তোফায়েল ইসলাম ও আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জানান, প্রার্থীরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। সকলকে নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলতে অনুরোধ করা হয়েছে।
যারা মনোনয়নপত্র জমা দিলেন
চট্টগ্রাম–১: মাহবুব-উর রহমান (আওয়ামী লীগ), মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন (স্বতন্ত্র), দিলীপ বড়ুয়া (বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল), মো. আবদুল মন্নান (ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মো. নুরুল করিম আফছার (বিএসপি), শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী (বাংলাদেশ মুসলিম লীগ), মো. ইউসুফ (বিএনএফ) ও মো. এমদাদ হোসেন চৌধুরী (জাতীয় পার্টি)।
চট্টগ্রাম–২: খাদিজাতুল আনোয়ার সনি (আওয়ামী লীগ), ত্বরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন), মোহাম্মদ গোলাম নওশের আলী (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ শাহজাহান (স্বতন্ত্র), রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী (স্বতন্ত্র), মীর মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ (বিএসপি), হোসাইন মো. আবু তৈয়ব (স্বতন্ত্র), মাজাহারুল হক শাহ চৌধুরী (বিকল্পধারা বাংলাদেশ), মো. শফিউল আজম চৌধুরী (জাতীয় পার্টি), মুহাম্মদ হামিদ উল্লাহ (ইসলামিক ফ্রন্ট) ও এম এ মতিন (ইসলামী ফ্রন্ট)।
চট্টগ্রাম–৩: মাহফুজুর রহমান মিতা (আওয়ামী লীগ), নুরুল আক্তার (জাসদ), মুহাম্মদ নুরুল আনোয়ার (বিএসপি), এম এ ছালাম (জাতীয় পার্টি), মুহাম্মদ উল্লাহ খান (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী (স্বতন্ত্র), মো. মোকতাদের আজাদ খান (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), মো. আবদুর রহীম (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মো. নিজাম উদ্দিন নাছির (জাকের পার্টি) ও আমিন রসুল (বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট)।
চট্টগ্রাম–৪: এস এম আল মামুন (আওয়ামী লীগ), দিদারুল আলম (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ ইমরান (স্বতন্ত্র), মো. দিদারুল কবির (জাতীয় পার্টি), মো. আকতার হোসেন (বিএনএফ), খোকন চৌধুরী (তৃণমূল বিএনপি), মো. শহীদল ইসলাম চৌধুরী (বাংলাদেশ কংগ্রেস) ও মো. সালাউদ্দিন (স্বতন্ত্র)।
চট্টগ্রাম–৫: উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম (আওয়ামী লীগ), ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ (জাতীয় পার্টি), মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী (স্বতন্ত্র), কাজী মহসীন চৌধুরী (বিএসপি), মোহাম্মদ নাছির হায়দার করিম (স্বতন্ত্র), সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (কল্যাণ পার্টি), মো. নাজিম উদ্দিন (প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরাম) ও আবু মোহাম্মদ শামশুদ্দদীন (বিএনএফ)।
চট্টগ্রাম–৬: এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), স.ম. জাফর উল্লাহ (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), শফিউল আজম (স্বতন্ত্র), মো. ইয়াহিয়া জিয়া চৌধুরী (তৃণমূল বিএনপি) ও মো. সফিক-উল আলম চৌধুরী (জাতীয় পার্টি)।
চট্টগ্রাম–৭: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ (আওয়ামী লীগ), মো. মোরশেদ আলম (বিএসপি), আহমেদ রেজা (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), খোরশেদ আলম (তৃণমূল বিএনপি), মুছা আহমেদ রানা (জাতীয় পার্টি) ও মুহাম্মদ ইকবাল হাছান (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট)।
চট্টগ্রাম–৮: নোমান আল মাহমুদ (আওয়ামী লীগ), আবদুস ছালাম (স্বতন্ত্র), সোলায়মান আলম শেঠ (জাতীয় পার্টি), মো. আরশেদুল আলম বাচ্চু (এনপিপি), বিজয় কুমার চৌধুরী (স্বতন্ত্র), এসএম আবুল কালাম আজাদ (বিএনএফ), সন্তোষ শর্মা (তৃণমূল বিএনপি), মোহাম্মদ ইলিয়াছ (বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি), সৈয়দ মো. ফরিদ উদ্দিন (ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মো. কামাল পাশা (এপিপি), আবদুল নবী (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), মহিবুল রহমান বুলবুল (স্বতন্ত্র) ও মনজুর হোসেন বাদল (বাংলাদেশ কংগ্রেস)।
চট্টগ্রাম–৯: বর্তমান শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যরিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (আওয়ামী লীগ), মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মিটুল দাশগুপ্ত (ন্যাপ), সৈয়দ আবু আজম (ইসলামী ফ্রন্ট), মুহাম্মদ নুরুল হুসাইন (বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি), সুজিত সরকার (তৃণমূল বিএনপি) ও সানজীদ রশীদ চৌধুরী (জাতীয় পার্টি)।
চট্টগ্রাম–১০: মহিউদ্দিন বাচ্চু (আওয়ামী লীগ), সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম (স্বতন্ত্র), ফরিদ মাহমুদ (স্বতন্ত্র), মো. ফেরদৌস রশিদ (তৃণমূল বিএনপি), মো. ওসমান গনি (স্বতন্ত্র), মুহাম্মদ আলমগীর ইসলাম বঈদী (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), আবুল বাশার মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন (ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মিজানুর রহমান (বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট), জহুরুল ইসলাম (জাতীয় পার্টি), মো. আনিসুর রহমান (জাসদ), মঞ্জুরুল ইসলাম (বিএনএফ) এবং মো. ফয়সাল আমিন (স্বতন্ত্র)।
চট্টগ্রাম–১১: এম আবদুল লতিফ (আওয়ামী লীগ), মো. জসিম উদ্দিন (জাসদ), আবুল বসার মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), মো. মহি উদ্দিন (বিএসপি), জিয়াউল হক সুমন (স্বতন্ত্র), দীপক কুমার পালিত (তৃণমূল বিএনপি), রেখা আলম চৌধুরী (স্বতন্ত্র), নারায়ণ রক্ষিত (এনপিপি) ও উজ্জ্বল ভৌমিক (গণফোরাম)।
চট্টগ্রাম–১২: দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), সামশুল হক চৌধুরী (স্বতন্ত্র), মো. গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী (স্বতন্ত্র), এম এয়াকুব আলী (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন–বিএসএম), মো. নুরুচ্ছফা সরকার (জাতীয় পার্টি), মো. ইলিয়াছ মিয়া (স্বতন্ত্র), এম এ মতিন (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), কাজি মুহাম্মদ জসীম উদ্দিন (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), রাজীব চৌধুরী (তৃণমূল বিএনপি) ও সৈয়দ মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন (বাংলাদেশ কংগ্রেস)।
চট্টগ্রাম–১৩: ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ (আওয়ামী লীগ), সৈয়দ মুহাম্মদ হামেদ হোসাইন (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মোহাম্মদ আরিফ মঈনু উদ্দীন (বিএসপি), আবদুর রব চৌধুরী (জাতীয় পার্টি), মৌলভী রশিদুল হক (বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন), মো. আবুল হোসাইন (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট) ও মকবুল আহম্মদ চৌধুরী (তৃণমূল বিএনপি)।
চট্টগ্রাম–১৪: মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), মো. আবদুল জব্বার চৌধুরী (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ আবুল হোছাইন (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আবদুস সামাদ (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), মো. গোলাম ইসহাক খান (বিএনএফ), মোহাম্মদ আয়ুব (বিএসপি), আবু জাফর মোহাম্মদ ওয়ালী উল্লাহ (জাতীয় পার্টি) এবং মোহাম্মদ আলী ফারুকী (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন)।
চট্টগ্রাম–১৫: আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী (আওয়ামী লীগ), আবদুল মোতালেব (স্বতন্ত্র), আ ম ম মিনহাজুর রহমান (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ ছালেম (জাতীয় পার্টি), ফজলুল হক (এনপিপি), মো. সোলাইমান কাশেমী (বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি), মোহাম্মদ হারুণ (ইসলামিক ঐক্যজোট), মো. জসীম উদ্দিন (মুক্তিজোট) ও মুহাম্মদ আলী হোসাইন (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট)।
চট্টগ্রাম–১৬: মোস্তাফিজুর রহমান (আওয়ামী লীগ), মুজিবুর রহমান সিআইপি (স্বতন্ত্র), মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী (জাতীয় পার্টি), মো. খালেকুজ্জামান (স্বতন্ত্র), আব্দুল্লাহ কবির (স্বতন্ত্র), মোহাম্মদ এমরানুল হক (স্বতন্ত্র), মুহাম্মদ মামুন আবছার (এনপিপি), আবদুল মালেক (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মো. মহিউল আলম চৌধুরী (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট), কামাল মোস্তফা চৌধুরী (জাসদ), আশীষ কুমার শীল (ন্যাপ), এম জিল্লুর করিম শরীফি (বাংলাদেশ কংগ্রেস) এবং মো. শফকত হোসাইন চাটগামী (ইসলামী ঐক্য জোট)।