কুমিল্লায় চাষ হচ্ছে সাদা ইঁদুর। ‘কুমিল্লা মাইস ফার্ম’ নামের এ খামারের ইঁদুরগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে কুমিল্লাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার কাজে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ল্যাব সহকারী আবদুল আউয়াল ও অফিস সহকারী নাসির উদ্দিন এ ইঁদুরের খামারের উদ্যোক্তা।
বিশ্বদ্যিালয়ের পাশে তাদের বাড়ি। চাকরির পাশাপাশি সেখানেই তারা ছোট খামারে তৈরি করে পালন করছেন সুইস অ্যালবিনো জাতের ইঁদুর।
কুবির অফিস সহকারী নাসির উদ্দিন জানান, তার আরেক সহকর্মী ল্যাব সহকারী আবদুল আউয়াল ২০২২ সালের অক্টোবরে বাণিজ্যিকভাবে ইঁদুর পালন শুরু করেন। এক বছরের মধ্যেই আসে সফলতা। বাণিজ্যিকভাবে শুরু করা ইঁদুর পালনে চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের সুযোগ হয়েছে।
কুবির ফার্মেসি বিভাগের ল্যাব সহকারী আবদুল আউয়াল বলেন, ‘আমাদের চাষ করা সুইজারল্যান্ডের সুইস অ্যালবিনো জাতের সাদা ইঁদুরগুলো গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি কারিকুলামেরও অংশ।’
তিনি বলেন, ‘কোনো একটি ওষুধ তৈরি করা এবং এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে ইঁদুর ব্যবহার করতে হয়। আগে দূরদূরান্ত থেকে আনতে হতো সাদা ইঁদুর। এতে ঝুঁকি থাকে, দামও বেশি।
‘এ বিষয়টির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেই আমি ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অফিস সহকারী নাসির উদ্দিন মিলে গড়ে তুলি সুইস অ্যালবিনো প্রজাতির ইঁদুরের ফার্ম।’
কথা হয় কুবির ফার্মেসি বিভাগের সপ্তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইয়াছিন আরাফাত, সানিয়া রহমান ও ইশরাত জাহান কেয়ার সঙ্গে।
তারা জানান, কুমিল্লায় সাদা ইঁদুরের চাষ শুরু হওয়ায় তাদের অনেক সুবিধা হয়েছে। এখন তাদের অ্যাকাডেমিক কাজে ইঁদুরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।
কুবি উপাচার্য এএফএম আবদুল মঈন ‘কুমিল্লা মাইস ফার্ম’ উদ্যোক্তাদের প্রশংসা করে বলেন, ‘সাদা ইঁদুরের চাষ অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। এখানে উৎপাদিত ইঁদুর গবেষণার কাজে লাগছে এটা অবশ্যই আনন্দের।’