গাইবান্ধা-৪ আসনে তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছে জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ ওবায়দুল হক সরকারের নাম। যদিও বিষয়টি জানেন না বলে নিউজবাংলার কাছে দাবি করেছেন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনরত দলটির এ নেতা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩০টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের নাম বুধবার ঘোষণা করে তৃণমূল বিএনপি। দলটি গাইবান্ধার পাঁচটি আসনের তিনটিতে প্রার্থী দিয়েছে। এর মধ্যে গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে প্রার্থী হিসেবে মোহাম্মদ ওবায়দুল হক সরকারের নাম ঘোষণা করে তৃণমূল বিএনপি।
‘জানেন না ওবায়দুল’
নাম ঘোষণার সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই দাবি করে একটি বিজ্ঞপ্তি দেন ওবায়দুল হক সরকার, যা ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে। এর একটি কপি এসেছে নিউজবাংলার হাতে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে ওবায়দুল হক সরকার জানান, তিনি (ওবায়দুল হক) প্রচারমাধ্যমে অবগত হয়েছেন যে, তৃণমূল বিএনপিতে তার নাম মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়েছে, যার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
বিষয়টি নিয়ে গোবিন্দগঞ্জবাসীকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি।
এসব বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওবায়দুল হক সরকার মোবাইল ফোনে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কে বা কারা গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হিসেবে আমার নাম ঘোষণা করেছেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। নাম প্রকাশের আগে আমার মতামতও জানতে চাওয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমাকে না জানিয়ে প্রার্থিতা ঘোষণা করার বিষয়টি নিয়ে আমি একটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। বিষয়টির সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নাই। অনুমতি ছাড়া প্রার্থী হিসেবে নাম প্রকাশের বিষয়টি আইন লঙ্ঘনের শামিল।’
এসব বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুর মোর্শেদ বাবু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত গাইবান্ধা জেলা ও উপজেলার বিএনপির দায়িত্বশীল কোনো নেতা তৃণমূলে যোগ দেয়নি এবং নির্বাচনে অংশও নিচ্ছে না। বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যদি কোনো নেতা নির্বাচনে প্রার্থী হয় বা অংশ নেয়, তাহলে তাকে সাংগঠনিকভাবে বহিষ্কার করা হবে।’
এ বিষয়ে তৃণমূল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও মিডিয়া উইং সদস্য সালাম মাহমুদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটার কোনো (অনুমতি না নিয়ে মনোনয়ন দেয়া) সুযোগই নেই। এখানে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে মনোনয়ন ফরম ক্রয় করে। তারপর সাক্ষাৎকার দেয়ার পরে নমিনেশন দেয়া হয়। এখানে এত সহজ নয় বিষয়গুলো।’
ওই সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এগুলো (না জানা বা অস্বীকার করা) দায়িত্বহীন কাজগুলোর ব্যাপারে আসলে বলার কিছু নাই বা আপনাদের ওসব বিশ্বাস করারও কোনো সুযোগ নাই।’