বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সম্পত্তির জন্য ৩১ ঘণ্টা বাবার মরদেহ আটকে রাখলেন পাঁচ মেয়ে

  • প্রতিবেদক, খুলনা   
  • ৩০ নভেম্বর, ২০২৩ ১৯:০৪

সাকাত গাজী কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন। কয়েকদিন আগে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে ছেলে মামুন গাজী তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে থাকাকালে মামুন বাবার সব সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নেন। বুধবার ভোর ৪টার দিকে তিনি মারা গেলে মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দিয়ে সটকে পড়েন মামুন।

বাবার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে সব সম্পত্তি লিখে নিয়েছেন একমাত্র ছেলে। তার মৃত্যুর পর ওই সম্পত্তির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে মরদেহ দাফনে বাধা হয়ে দাঁড়ান ৫ মেয়ে। ৩১ ঘণ্টা এমনভাবে বাড়ির উঠানে মরদেহ পড়ে থাকার পরে প্রশাসনে খবর দেন প্রতিবেশীরা। পরে পুলিশ এসে মেয়েদের আশ্বস্ত করে মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করে।

এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের ঘোষাল গ্রামে। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে লাশের দফন হয়।

মৃত ওই হতভাগ্যের নাম সাকাত গাজী। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে ও ৫ মেয়ে রেখে গেছেন।

স্থানীয়রা জানান, সাকাত গাজী কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন। কয়েকদিন আগে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে ছেলে মামুন গাজী তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে থাকাকালে মামুন বাবার সব সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নেন। বুধবার ভোর ৪টার দিকে খুমেক হাসপাতালে মারা যান সাকাত গাজী।

তার মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দিয়ে সটকে পড়েন মামুন। সকাল ৮টার দিকে মরদেহ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স বাড়িতে আসে। পরে স্থানীয়রা মরদেহ দাফন করার ব্যবস্থা করতে গেলে মামুনের পাঁচ বোন তাতে বাঁধা দেন। এরপর থেকে থানা পুলিশ ওই বাড়িতে না যাওয়া পর্যন্ত মরদেহ ওই বাড়ির ওঠানেই পড়ে ছিল।

মৃত সাকাত গাজীর মেয়ে লাবনী আক্তার জানান, তার ভাই বাবার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে তাদেরকে না জানিয়ে সব সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়েছেন। এ কারণে সম্পত্তির ন্যায্য ভাগের ফয়সালা পেতে তারা মরদেহ দাফনে বাধা দিয়েছেন।

স্থানীয় মসজিদের ইমাম বেলাল হোসেন বলেন, ‘সাকাত গাজীকে বুধবার বাদ জোহর জানাজা পড়ানোর কথা ছিল। তবে তার ৫ মেয়ের বাধায় আমরা ওইদিন কিছুই করতে পারিনি।’

এ প্রসঙ্গে পাইকগাছা থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি নিজেই ওই বাড়িতে গিয়েছিলাম। পরে মেয়েদের আশ্বস্ত করে দুপুরের দিকে মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করেছি।’

ছেলের সম্পত্তি লিখে নেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘মামুন যে তারা বাবার সম্পত্তি লিখে নিয়েছে এটার প্রমাণ আমরা পেয়েছি। কারণ মরদেহের বুড়ো আঙ্গুলে টিপসই দেয়ার ছাপ রয়েছে।’

সাকাত গাজীর নামে অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকার সম্পত্তি রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর