বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এক মাসে ৮৩৭ মামলা, বিএনপি নেতাসহ আসামি ২০,৩২৬

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৯ নভেম্বর, ২০২৩ ১৮:০৯

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘বিরোধী দল তথা জনগণের ন্যায্য আন্দোলনকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে সরকার বিএনপিসহ বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস অব্যাহত রেখেছে। সাধারণ মানুষও রেহাই পাচ্ছে না। তারা হয়রানি ও ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা গায়েবি মামলাকে বিরোধী দল দমনের প্রধান অবলম্বনে পরিণত করেছে।’

বিএনপির গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের পর এ পর্যন্ত ৮৩৭টির বেশি হয়রানিমূলক গায়েবি মামলা করা হয়েছে অভিযোগ করে এগুলোতে বিরোধীদলীয় ২০ হাজার ৩২৬ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপিপন্থি এক আইনজীবী।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

রাজনৈতিক ‘হয়রানিমূলক’ মামলায় গ্রেপ্তার আইনজীবীসহ সব রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি ও ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহরের দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার) সাবেক সম্পাদক এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল, রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল, আইনজীবী মোহাম্মদ আলী, মো. আক্তারুজ্জামান, গাজী তৌহিদুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মাহবুবসহ সংশ্লিষ্টরা।

লিখিত বক্তব্যে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘বিরোধী দল তথা জনগণের ন্যায্য আন্দোলনকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে সরকার বিএনপিসহ বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস অব্যাহত রেখেছে। সাধারণ মানুষও রেহাই পাচ্ছে না। তারা হয়রানি ও ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা গায়েবি মামলাকে বিরোধী দল দমনের প্রধান অবলম্বনে পরিণত করেছে।

‘এই কাজে তারা রাষ্ট্রের পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে দলীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে যথেচ্ছ ব্যবহার করছে। সরকার ও সরকারি দল বিচার বিভাগকে তাদের অপতৎপরতার প্রধান বাহনে পরিণত করেছে। বিরোধী দলসমূহের নেতা-কর্মীদের বিচারিক হয়রানি এবং উপযুক্ত তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে তড়িঘড়ি করে সাজা প্রদান সাধারণ নিয়মে পরিণত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী’ আন্দোলনে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মী এবং সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে বর্তমান একনায়কতান্ত্রিক স্বৈরশাসক কর্তৃক হয়রানি, গুম, খুন, মামলা, গ্রেপ্তার ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সাজার শিকার হতে হচ্ছে।

এ আইনজীবী বলেন, ‘সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও হয়রানি থেকে মুক্তি পাচ্ছে না দেশের আইনজীবী সমাজও। আইনজীবীদের নজিরবিহীনভাবে আদালত প্রাঙ্গণ ও চেম্বার থেকেও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

‘ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, পাবনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার মাসুদুর রহমান, অ্যাডভোকেট নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ, মাহমুদ হাসান মিলনসহ গ্রেপ্তার হয়ে জেল আছেন।’

সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল অভিযোগ করেন, ‘জামিনপ্রাপ্তির সকল বৈধ কারণ থাকলেও আইনজীবীসহ কারাবন্দি রাজনৈতিক কর্মীদের জামিন প্রদান করা হচ্ছে না। রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলায় ইতোপূর্বে আগাম জামিন প্রদান করা হলেও বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অধিকাংশ ফৌজদারি আদালতসমূহ আগাম জামিনের দরখাস্ত শুনানি করতে অপারগতা প্রকাশ করছেন। ফলে রাজনৈতিক হয়রানির মাত্রা বেড়েই চলেছে।’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সব বন্দির মুক্তি দাবি করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।

এ বিভাগের আরো খবর