বিএনপির যেসব নেতা দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নেতা হিসেবে মানতে পারেন না, তারা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে মনে করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বিএনপির এ ধরনের নেতারা নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছেন বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, বিএনপির যে নেতৃত্ব তা দলটির অনেকের পছন্দ না। যে কারণে তারা নতুন দল করে নির্বাচনে অংশ নেয়ার চেষ্টা করছেন। আবার বিএনপিরও অনেকেই প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করছেন বলে জেনেছি।’
তিনি বলেন, ‘মানুষ বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বিএনপি নিশ্চিত যে নির্বাচনে আসতে পারবে না কোনোদিন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি ২৩টি আসন পেয়েছিল। ২০১৪ সালে সুনিশ্চিত পরাজয় জেনে তারা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। এরপর তারা সারাদেশে জ্বালাও-পোড়াও, গাড়ি ভাংচুর করেছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘পুরো দেশ নির্বাচনী উৎসবে মেতে উঠেছে। সবাই নিজের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে নেমে পড়েছেন। কে নির্বাচনে এলো না বা কে কী বলল তা নিয়ে মানুষের কোনো উদ্বেগ নেই।’
নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে কি না জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘নির্বাচনের প্রচারের সময় এলেই সেটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। রাজনৈতিক দলগুলো তো প্রচার করবেই। সবাই প্রচারে নামবে।’
বিএনপির অনেক নেতা কারাগারে থাকা অবস্থায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কীভাবে নিশ্চিত হবে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির যেসব নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা আছে। তারা ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ করেছেন। বাস জ্বালিয়েছেন, মানুষ পুড়িয়েছেন। এসব ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং তারা গ্রেপ্তার হয়েছেন। বিনা কারণে কাউকে ধরা হয়নি।’
নির্বাচন ঘিরে কোনো নাশকতার শঙ্কা রয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো খবর পাইনি। আর নাশকতা কেবল বাংলাদেশের মানুষ না, বিশ্বের কোনো সভ্য দেশের মানুষই পছন্দ করে না। তারা যত নাশকতা করবে, ততই জনবিচ্ছিন্ন হবে। এতে জনসমর্থনের চেয়ে তাদের ভাগ্যে জুটবে ধিক্কার।’