বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নির্দেশনা অমান্য করে মেহেরপুরে নির্বাচনি প্রচারণা

  • প্রতিনিধি, মেহেরপুর    
  • ২৮ নভেম্বর, ২০২৩ ১৩:৪৭

জেলা রিটার্নিং অফিসার বলেন, ‘কেউ যদি নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের আগে নির্বাচনি প্রচার চালালে প্রার্থী বা তার সমর্থকের সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এমনকি উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। সেই সঙ্গে বাতিল হতে পারে প্রার্থীতা।’

তফসিল ঘোষণার পর থেকেই মেহেরপুর জেলায় শুরু হয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও ভোটে অংশগ্রহণে আগ্রহী প্রার্থীদের নির্বাচনি প্রচারণা।

আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্ধারিত সময়ের আগেই লাগানো পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড, তোরণ, প্যান্ডেল, দেয়াল লিখনসহ সব ধরনের নির্বাচনি প্রচার সামগ্রী নিজ উদ্যোগে অপসারণের নির্দেশনা থাকলেও তা মানছেন না অধিকাংশ প্রার্থীই।

জেলা রিটার্নিং অফিসারের নিদের্শনাকে তোয়াক্কা না করে জেলার তিনটি উপজেলার আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রবেশমুখে, হাটে-বাজারে, পাড়া মহল্লায় দেখা যাচ্ছে প্রার্থীদের ব্যানার ও পোস্টার। চলছে নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মটরসাইকেল র‍্যালি।

সাধারণ মানুষ বলছে, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে নির্বাচন শুরু হওয়ার আগেই নির্বাচনি আচারণবিধি লঙ্ঘন করতে শুরু করেছেন প্রার্থীরা।

এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান জেলা রিটার্নিং অফিসার।

আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের তারিখ নির্ধারণ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেয়া যাবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর মনোনয়ন যাচাই বাছাই হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। ১৮ ডিসেম্বর দেয়া হবে প্রতীক বরাদ্দ। এর পর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালানোর সুযোগ থাকবে।

সেক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র জমার জন্য ১৪ দিন সময় দেয়া হয়েছে এবং প্রচারের জন্য ১৯ দিন সময় রয়েছে। এই সময়ের আগে কেউ তার নির্বাচনি এলাকায় প্রচার চালাতে পারবেন না।

তাই ২৫ নভেম্বর শনিবারের মধ্যে নিজ উদ্যোগে পোস্টার ও দেয়াল লিখন অপসারণ এবং বাইক ও অন্যান্য যানবাহনে শোভাযাত্রা, শোডাউন, মিছিল ইত্যাদি কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করে প্রজ্ঞাপন দিয়েছিল জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার শামীম হাসান।

গাংনী উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের আগে যে সব নেতা-কর্মী বা সমর্থকরা নির্বাচন আইন বিধিনিষেধ অমান্য করে। তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

জেলা রিটার্নিং অফিসার বলেন, ‘কেউ যদি নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের আগে নির্বাচনি প্রচার চালালে প্রার্থী বা তার সমর্থকের সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এমনকি উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। সেই সঙ্গে বাতিল হতে পারে প্রার্থীতা।’

এ বিভাগের আরো খবর