বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চট্টগ্রাম-১০ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন সাবেক মেয়র মনজুর

  • রতন কান্তি দেবাশীষ, চট্টগ্রাম   
  • ২৭ নভেম্বর, ২০২৩ ২২:৩১

ছেলে মোহাম্মদ সারোয়ার আলম জানান, তার বাবা মনজুর আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন। সে জন্য মঙ্গলবার তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র নেবেন। মূলত এলাকার মানুষজনের চাপের কারণে তিনি নির্বাচনে আসছেন।

চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম।

তিনি মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র নেবেন বলে সোমবার নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে মোহাম্মদ সারোয়ার আলম।

সারোয়ার জানান, তার বাবা মনজুর আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন। সে জন্য মঙ্গলবার তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র নেবেন। মূলত এলাকার মানুষজনের চাপের কারণে তিনি নির্বাচনে আসছেন।

তিনি জানান, সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম যুগ যুগ ধরে এ জনপদের সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন। তিনি ১৭ বছর ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন, ৩ বছর ভারপ্রাপ্ত মেয়র ছিলেন এবং ২০১০-১৫ সাল পর্যন্ত চসিকের নির্বাচিত মেয়র ছিলেন।

জাতীয় বা সিটি করপোরেশন নির্বাচন এলেই আলোচনায় আসেন নিভৃতচারী রাজনীতিক মনজুর। এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে আলোচনায় এলেও শেষ পর্যন্ত তিনি মনোনয়ন চাননি। চট্টগ্রাম-১০ আসনে ক্ষমতাসীন দল থেকে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন মাত্র কয়েক মাস আগে উপনির্বাচনে জয়ী সাবেক যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিন বাচ্চু।

চট্টগ্রাম-১০ আসনে মনজুর আলমের পারিবারিক প্রভাব রয়েছে। এ আসনে তিনি এর আগেও নির্বাচন করেন। দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তার পরিবার। তার উদ্যোগে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে নগরজুড়ে নানা সেবামূলক কাজও বেশ প্রশংসিত। তার উদ্যোগে কাট্টলীতে নির্মাণ হচ্ছে শেখ রাসেল স্টেডিয়াম।

দলের সঙ্গে অভিমান করে ২০১০ সালে বিএনপিতে যোগ দিয়ে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হন মনজুর। সেবার তিনি বিপুল ভোটে হারান তিনবারের মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে।

পাঁচ বছর পর ২০১৫ সালে আবারও নির্বাচনে প্রার্থী হলেও জয়ী হতে পারেননি। এর পরপরই বিএনপি ছাড়েন মনজুর আলম। নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন রাজনীতিতে। পরে নেতাদের আহ্বানে আবারও ফিরে যান তার পুরোনো দল আওয়ামী লীগে।

গত কয়েক বছর ধরে রাজনীতির চেয়ে সামাজিক কাজেই বেশি সময় দেন বর্ষীয়ান এ রাজনীতিক। মোস্তফা-হাকিম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ও হোসনে আরা মনজুর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করে তিনি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, হাসপাতালসহ শতাধিক জনহিতকর প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এসব প্রতিষ্ঠান ও শিল্পকারখানায় প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন।

করোনাভাইরাস মহামারির সময় এক বছর নিজের মেডিক্যালে অক্সিজেন বিনা মূল্যে রিফিল করে দিয়েছেন। আইসোলেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে ৬ মাস নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিয়েছেন।

সম্প্রতি ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে গেলে আইসোলেশন সেন্টার খুলে দুই মাস সেবা দিয়েছেন মনজুর। শিশুদের খেলার জন্য শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করেছেন তিনি।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনজুরের নির্বাচনের খবর নতুন সমীকরণ তৈরি করবে চট্টগ্রামের রাজনীতিতে। বদলে যেতে পারে অনেক হিসাব-নিকাশ। কেননা আওয়ামী লীগের অনেকেরই সমর্থন থাকবে তার সঙ্গে।

এ বিভাগের আরো খবর