ঢাকার সাভারে যাত্রীবেশে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনার দেড় মাস পর অপরাধীচক্রের প্রধানসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)। এ সময় নিহতের ব্যবহৃত মোবাইলসহ ও বেশ কিছু নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় রোববার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, কেরানীগঞ্জ ও সাভার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার দুপুরে তাদের সাভার থানা পুলিশের কাছে সোপর্দের পর আদালতে পাঠানোর কথা রয়েছে।
আশুলিয়ায় নবীনগর র্যাব ক্যাম্পে সোমবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিং করে এসব তথ্য জানান সিপিসি-২ এর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান।
গ্রেফতার পাঁচজন হলেন- মো. রাজু, মো. মহসিন, নুর আলম, মো. ইসমাইল ও মো. আক্তার। তারা সবাই ভোলা জেলার বাসিন্দা।
র্যাব জানায়, গত ৮ অক্টোবর সাভারের হেমায়েতপুর এলাকায় চালক রমজান আলির অটোরিকশায় যাত্রীবেশে উঠে ছিনতাইকারী চক্রের প্রধান রাজু ও তার সহযোগী ইসমাইল। এরপর অটোরিকশাটি নিয়ে ভাকুর্তার কাইসার চর এলাকার নির্জন স্থানে নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। ওই স্থানে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা ছিনতাইকারী চক্রের আরও তিনজন মিলে খেলনা পিস্তলের ভয় দেখিয়ে চালক রমজানের মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
রমজানের একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম অটোরিকশাটিও ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে সে চিৎকার শুরু করে। এ সময় ছিনতাইকারীরা তার হাত-পা বেঁধে গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ একটি নির্জন কলাবাগানে ফেলে অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবার সাভার মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামিদের নামে হত্যা মামলা করলে ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় রোববার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, কেরানীগঞ্জ ও সাভার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ভিকটিম রমজানকে হত্যা ও অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনা স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তার সকলেই ভোলা জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হলেও হত্যাকাণ্ডের পর তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে চলে যায়।
‘এরপর আবারও সম্প্রতি তারা ঢাকা ফিরে মোহাম্মদপুর, কেরানীগঞ্জ ও সাভার এলাকায় ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়ে। এ চক্রের সদস্যরা দিনে অটোরিকশা ও সিএনজি চালক হিসেবে কাজ করলেও রাতের বেলা তারা ছিনতাই করত।’