বিএনপি যদি নির্বাচনে আসতে চায় এবং সেজন্য যদি দলটির পক্ষ থেকে নির্বাচনের সময় নিয়ে কোনো প্রস্তাব থাকে তা বিবেচনা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
চট্টগ্রাম নগরীতে সার্কিট হাউসে রোববার সকালে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত সভা শেষে এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান।
বিএনপি নির্বাচনে এলে তফসিল নিয়ে পুনর্বিবেচনা করা হবে কি-না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও কারও কাছ থেকে কোনো আবেদন পাইনি। যদি কেউ নির্বাচনে আসে বা নির্বাচনের সময় নিয়ে যদি কারো কথা থাকে তবে সেক্ষেত্রে আমরা বিবেচনা করব। সেই বিবেচনা করার মত যথেষ্ট সময় আমাদের আছে।’
ইসি বলেন, ‘সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। কোনো ধরনের পক্ষপাতমূলক আচরণ ও শৈথিল্যতা প্রদর্শন করা যাবে না। দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। যদি কারো পক্ষপাতমূলক আচরণে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয় তাহলে তিনিই দায়ি থাকবেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা বা না করার এখতিয়ার সবার আছে। কিন্তু নির্বাচন বানচাল করা বা অন্যকে নির্বাচন করতে না দেয়ার অধিকার আইন কাউকে দেয়নি। এ রকম কেউ করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারণ নির্বাচন না করার অধিকার তাদের একক কিংবা দলীয় সিদ্ধান্ত। তাই বলে কাউকে বাধা দেয়া যাবে না। ভোটের পরিবেশ সৃষ্টিতে যা যা দরকার সেদিকে আমরা নজর দিচ্ছি।’
ইসি আরও বলেন, ‘কমিশন বরাবরই বলে আসছে, আমরা সুষ্ঠু অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই এবং এর জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করতে যা যা দরকার সবই করা হবে।’
নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো শঙ্কা প্রকাশ করেছে এমন প্রশ্নের উত্তরে ইসি আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কাছে কেউ এখনও শঙ্কা প্রকাশ করেনি। এরই মধ্যে ছোট-বড় বিভিন্ন দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহ ব্যক্ত করেছে। এতে মনে হচ্ছে, এবারের নির্বাচনে অনেকেই মাঠে থাকবেন এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাও হবে। এই নির্বাচন আমরা আমাদের চোখ দিয়ে দেখছি না। বিশ্ববাসীও দেখছে। কাজেই নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করার কোনো বিকল্প নেই। যেকোনো মূল্যে গ্রহণযোগ্য করতে হবে।’
কেন্দ্রে ভোটার আনার দায়িত্ব কমিশনের নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভোটার আনার দায়িত্ব ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশনের বা কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নয়। যারা নির্বাচন করবেন- সেই প্রার্থী, দল, সমর্থক বা তার নেতা-কর্মীদের করতে হবে। তবে ভোটারদের কোথাও ভয়ভীতি দেখানো হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেবে।’
এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, বিজিবির রিজিওনাল কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজিদুর রহমান, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ইউনুছ আলী, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এনামুল হক।