বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চীনা নাগরিকের প্রতারণা, পাচার শত কোটি টাকা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৫ নভেম্বর, ২০২৩ ১৯:৫১

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘চক্রটি অল্প টাকা দিয়ে ফাঁদে ফেলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিত। এভাবে তারা এক ভুক্তভোগীর কাছ থেকেই ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। চক্রের ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও চক্রের আরও অনেকে জড়িত। তারা আত্মগোপন করেছে। আমাদের অভিযান চলমান আছে।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া চাকরির বিজ্ঞাপন ও সহজে ঋণের সুযোগ করে দেয়ার প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল ও প্রতারণার অভিযোগে এক চীনা নাগরিকসহ চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রাজধানীর হাতিরঝিল ও কাফরুল থানায় ভুক্তভোগীদের করা মামলার তদন্তে নেমে পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার ক্রাইম বিভাগ।

গ্রেপ্তার হওয়া চক্রের প্রধান চীনা নাগরিকের নাম ঝ্যাং জি ঝাহ্যাং, অন্যরা হলেন- মো. আরিফুল ইসলাম রিফাত, মো. নাজমুল হুদা জাহিদ, শহিদুল ইসলাম শান্ত, বেনজির আহম্মেদ টনী, মো. আব্দুর রহমান দিগন্ত।

রাজধানীর মিন্টো রোডে শনিবার ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখে অ্যাপস ডাউনলোড করার পরেই মোবাইলের ছবি, ভিডিও, কন্ট্র্যাক্ট লিস্টসহ গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য চক্রের হাতে চলে যায়। এরপর চক্রের সদস্যরা সেগুলো ব্যবহার করে লোন নেয়া ভুক্তভোগীকে এ সকল ছবি ভিডিও ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেইল করে।

‘প্রথমে সরাসরি ভুক্তভোগীকে নানাভাবে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে। তাকে না পেলে বাবা-মাসহ পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতজনদের নাম্বারে আপত্তিকর বিভিন্ন ছবি তৈরি করে পাঠানো হতো। একইভাবে মোবাইল ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে ঘরে বসে দিনে ৮০০ থেকে দুই হাজার টাকা আয়ের সুযোগ রয়েছে। এমন এসএমএস পাঠিয়ে বিভিন্নজনকে প্রলুভদ্ধ করে। আর এই প্রলোভনের ফাঁদে পা দিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।’

গোয়েন্দা প্রধান বলেন, ‘অভিযানের তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সীমে ২৯টি মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টের তথ্য পাওয়া গেছে। গত ছয় মাসে এই সকল মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট ব্যবহার করে ৫০ কোটি টাকারও বেশি পাচার করেছে। সে হিসেবে গত দুই বছরে অন্তত দুইশো কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার করেছে বলে প্রাথমিক তথ্যে পাওয়া গেছে।

‘দেশে এখন পর্যন্ত এ চক্রের হাতে অন্তত দেড় হাজার মানুষ প্রতারিত হয়েছে। এই চক্রের প্রতারণার শিকার হয়ে ভারতে অনেক মানুষ মারা গেছে। অ্যাপসটি চীনা নাগরিকদের তৈরি। এটির সার্ভার সিঙ্গাপুরে। আর কলসেন্টার বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে রয়েছে। পাকিস্তানি নম্বর দিয়ে বাংলাদেশিদের কল করা হয়। আর বাংলাদেশী নম্বর ব্যবহার করে ভারতীয়দের কল করা হতো।’

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘চক্রটি অল্প টাকা দিয়ে ফাঁদে ফেলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিত। এভাবে তারা এক ভুক্তভোগীর কাছ থেকেই ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। চক্রের ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও চক্রের আরও অনেকে জড়িত। তারা আত্মগোপন করেছে। আমাদের অভিযান চলমান আছে।’

বিবিসির অনুসন্ধানের বরাত দিয়ে হারুন বলেন, ‘পাশের দেশে এই সকল অ্যাপস থেকে ঋণ নিয়ে নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়ে ৬০ জনেরও বেশি আত্মহত্যা করেছেন। বাংলাদেশে কেউ আত্মহত্যা করেছে কি না সেই তথ্য পাওয়া যায় নি।’

এ চক্রের হাতে কেউ প্রতারিত হলে ভুক্তভোগীদের মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন ডিবি প্রধান।

এ বিভাগের আরো খবর