নাটোরের লালপুরে স্বাস্থ্যকর্মী মাহমুদা শারমিন বীথি হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বড়াইগ্রাম উপজেলার আহমেদপুর থেকে শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জাহিদ হাসান বড়াইগ্রামের কামারদহ গ্রামের বাসিন্দা।
লালপুর থানার ওসি উজ্জ্বল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে গোপালপুর মুক্তার জেনারেল হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী মাহমুদা শারমিন বীথি দায়িত্ব পালন শেষে হাসপাতাল থেকে বের হন। পরে রাতে বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে। ওই সময় বীথির মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলেও তা রিসিভ হয় না।
‘পরে শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা তোফাকাটা মোড় এলাকার আম বাগানের পাশে বীথির গলাকাটা মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের পাশে মানিব্যাগ ও পুরুষের ব্যবহৃত জুতা পড়ে থাকতে দেখে তা আলামত হিসেবে জব্দ করে।’
এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে বীথির বাবা আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে হত্যাকাণ্ডে একমাত্র অভিযুক্ত জাহিদ হাসানকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাহিদ স্বীকার করেছেন বীথির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার। বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় পূর্ব পরিকল্পনামাফিক বীথিকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন।
মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে দাফন করা হয়েছে বলে জানা ওসি উজ্জ্বল হোসেন।