গাজীপুরে দৈনিক ইনকিলাবের কাপাসিয়া উপজেলা সংবাদদাতা, কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও তারাগঞ্জ হরেন্দ্র নারায়ণ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী অধ্যাপক শামসুল হুদা লিটনকে বুধবার রাতে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আদালতে নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে গাজীপুর আদালতে তোলা হয়। আদালত তার জামিন মঞ্জুর না করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের নাশেরা গ্রামের মৃত শুক্কুর আলী মাস্টারের ছেলে শামসুল হুদা লিটন তারাগঞ্জ হরেন্দ্র নারায়ণ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক ও দৈনিক ইনকিলাবের কাপাসিয়া উপজেলা সংবাদদাতা হিসেবে কর্মরত। তিনি বহু বছর ধরে কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। গত ৫ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের বড়হর পূর্বপাড়া ঈদগাহ মাঠের সামনে সরকারবিরোধী নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করছিল।
সে সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অন্যান্যরা পালিয়ে যেতে পারলেও টোক ইউনিয়নের ডুমদিয়া গ্রামের মৃত সিরাজউদ্দিনের ছেলে মো. হাদিউল ইসলাম বাদলকে কিছু বইপুস্তকসহ পুলিশ গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাদে তিনি নিজেকে জামায়াতে ইসলামীর একজন রোকন (সমর্থক) হিসেবে পরিচয় দেন। পরেরদিন কাপাসিয়া থানার এসআই মিঠুন বৈদ্য বাদী হয়ে হাদিউল ইসলামসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। আরও জিজ্ঞাসাবাদে ওই দিন ঘটনার সঙ্গে শামসুল হুদা লিটনও উপস্থিত ছিলেন বলে গ্রেপ্তারকৃত আসামি জবানবন্দি দিয়েছেন বলে পুলিশ দাবি করে। পরে গত বুধবার রাতে তাকে রানীগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাংবাদিক শামসুল হুদা লিটনের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন কাপাসিয়া প্রেসক্লাব ও কর্মরত স্থানীয় সাংবাদিকগণ এবং বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা। তারা অনতিবিলম্বে সাংবাদিক শামসুল হুদা লিটনের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।