মাদারীপুরে মাদ্রাসার চার ছাত্রকে বেত দিয়ে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠছে ওই মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
কালকিনির বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের খাশেরহাট বন্দরের খাশেরহাট নূরানীয়া হাফিজিয়া এতিমখানা মাদ্রাসায় বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে, তবে ঘটনাটি প্রকাশ পায় রাতে।
এর পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক তোফায়েল আহম্মদ পালাতক আছেন।
খবর পেয়ে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস ও কালকিনি থানার ওসি নাজমুল হাসান ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন। ঘটনার তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ছাত্রদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বিকেলে মাদ্রাসার ছাদে ছাত্ররা খেলা করার সময় একটি মুখপোড়া হনুমান উঠে ছাদের ওপর। ওই সময় ছাত্ররা হনুমানকে বেশ কিছু ঢিল ছুড়ে। ওই ঘটনায় মাদ্রাসার প্রধান হুজুরের কাছে বিচার গেলে হুজুর তাদের বকাঝকা দিয়ে আসরের নামাজ পড়তে চলে যান। এর পর মাদ্রাসার শ্রেণিশিক্ষক হাফেজ তোফায়েল আহম্মেদ চার ছাত্রকে বেত দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ আরও জানায়, ছাত্ররা চিৎকার করলে তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাথি ও কিল-ঘুষি দেন ওই শিক্ষক। এতে এক ছাত্রের হাত জখম হয় ও আরেক ছাত্রের বাম হাতের আঙুল ভেঙে যায়। তারা উভয়ই প্রথম জামাতের ছাত্র।
কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে তাদের ও তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করি। এর পর শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।’
অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।