বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য তাহলে মিলবে কীভাবে?

  • প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ   
  • ২৩ নভেম্বর, ২০২৩ ২৩:০০

অভিযোগের পর তদন্ত কমিটি গঠন ও তা সম্পন্ন হয়েছে অনেক আগেই। কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য নাকি ভুলে গেছেন তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়া ইউএনও।

ময়মনসিংহের ভালুকায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি জবরদখল ও অনুমতি ছাড়া ভবন ভেঙে মালামাল আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে ওই সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুপুর আক্তার ও তার স্বামী পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সালেহ ইমরানের বিরুদ্ধে। অভিযোগের পর তদন্ত কমিটি গঠন ও তা সম্পন্ন হয়েছে অনেক আগেই। কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য নাকি ভুলে গেছেন তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়া ইউএনও।

এ বিষয়ে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেও কোনো তথ্য পাননি অভিযুক্তরা। নির্দিষ্ট সময়ে তথ্য সরবরাহ না করায় আপিলও করেছেন তারা, তাতেই সুরাহা হয়নি কিছু।

এ বছরের জুলাইয়ে উপজেলার ৭১ নম্বর কাদিগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুপুর আক্তার ও তার স্বামী এসআই সালেহ ইমরানের নামে বিদ্যালয়ের জমি দখল ও অনুমতি ছাড়াই ভবন ভেঙ্গে মালামাল আত্মসাতের অভিযোগ এনে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন স্থানীয় আবুল কালাম আজাদ নামে এক ব্যক্তি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমাইয়া আক্তারকে আহ্বায়ক ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন ইউএনও এরশাদুল আহম্মেদ। কমিটিকে সময় দেয়া হয় সাত কার্যদিবস।

তদন্ত প্রতিবেদনে কী এসেছে- তা জানতে চলতি বছরের ২ আগস্ট ইউএনওর কাছে একটি লিখিত আবেদন করেন এসআই সালেহ ইমরান। কিন্তু তিনি আবেদনে সাড়া দেননি। এরপর ১৬ আগস্ট তথ্য অধিকার আইনে ইউএনওর কাছে আরেকটি আবেদন করেন সালেহ আহমেদ। ইউএনও এরশাদুল আহম্মেদ তারও কোনো জবাব না দিলে ১২ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করেন অভিযুক্ত, কিন্তু সেখানেও হতাশ হতে হয় এসআই সালেহ আহমেদকে।

শুধু অভিযুক্ত নন, সংবাদকর্মীরাও তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য জানতে গিয়ে খালি হাতে ফিরেছেন।

এ বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা সালেহ ইমরান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে মানহানি করে যাচ্ছে একটি পক্ষ। একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে ইউএনও অফিসের তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য জানার অধিকার আমার আছে।

‘ইউএনও অফিস থেকেই আমাকে ফোন করে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করার কথা বলা হয়েছিল। আমি সেভাবে আবেদন করলেও কোনো অজানা কারণে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে অপারগতা প্রকাশ করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে ভালুকার ইউএনও এরশাদুল আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিউজবাংলা। এ সময় তিনি বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদনে কী এসেছে আমার মনে নেই। ডিসি (জেলা প্রশাসক) স্যার বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন। প্রয়োজনে ওইখানে যোগাযোগ করতে পারেন। আমি এ সম্পর্কে কিছু বলতে পারব না।’

পরে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাফিজার রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন আমার অফিসে রয়েছে। সেটি এখনও দেখা হয়নি। দেখে তারপর প্রতিবেদনের বিষয়ে বলতে পারব।’

এ বিভাগের আরো খবর