ঘূর্ণিঝড় মিধিলির পর বঙ্গোপসাগরে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় আসছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। আবহাওয়াবিষয়ক ওয়েবসাইট স্কাইমেটওয়েদার বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানায়, বঙ্গোপসাগরে এ বছর চতুর্থবারের মতো আসছে ঘূর্ণিঝড়। ‘মিগজাউম’ নামের ঝড়টি আগামী সপ্তাহের শুরুতে আঘাত হানতে পারে।
ওয়েবসাইটটির খবরে বলা হয়, ভারত মহাসাগরে ঝড়ের মোক্ষম সময় হিসেবে পরিণত হয়েছে নভেম্বর। সাগরের অনুকূল পরিস্থিতি এবং সহায়ক পরিবেশের কারণে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ক্রান্তীয় ঝড়ের জোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আগামী ২৬ থেকে ২৭ নভেম্বর দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। আর এটি ঝড়ে রূপ নিতে পারে ২৮ থেকে ২৯ নভেম্বর।
এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ ফেসবুকে বৃহস্পতিবার এক পোস্টে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের বিভিন্ন দিক তুলে ধরার পাশাপাশি ক্ষতি এড়াতে আগাম পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন।
পোস্টে তিনি লিখেন, ‘সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি সর্বশেষ দুটি ঘূর্ণিঝড় (হামুন ও মিধিলি) অপেক্ষা বেশি শক্তিশালী হওয়ার আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। ১ থেকে ২ ডিসেম্বর বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত করার আশঙ্কা।
‘২৮ নভেম্বরের মধ্যে পর্যটকরা সেন্টমার্টিন দ্বীপ ত্যাগ না করলে আটকা পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রাণহানি ও নৌকাডুবি এড়াতে অবশ্যই ২৮ নভেম্বরের মধ্যে উপকূলে ফেরত আসতে হবে সমুদ্রে অবস্থানরত জেলেদের।’