বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দল বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে তার নির্বাচনী আসন হাটহাজারীসহ চট্টগ্রামে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।
সংবাদমাধ্যমে বৃহস্পতিবার হাটহাজারী উপজেলা বিএনপি, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল ও জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) পাঠানো আলাদা বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নিবন্ধিত তিনটি রাজনৈতিক দলকে নিয়ে ‘যুক্তফ্রন্ট’ নামে জোট গঠন করে বুধবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম। এ ঘোষণা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই চট্টগ্রামে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির যুক্তফ্রন্ট গঠন করে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাধারণ জনগনের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর চট্টগ্রাম উত্তর জেলায় দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিম শেষ বয়সে এসে স্বেচ্ছাচারিতা, লোভ-লালসার বশবর্তী হয়ে অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে এমন ঘৃণিত কাজ করেছেন।
‘২০১৮ সালে বিএনপি নিজ দলের শতভাগ যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন না দিয়ে জোটকে সম্মান দেখিয়ে মেজর জেনারেল (অব.) ইব্রাহিমের মতো একজন সিঙ্গেল ম্যানকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ করেছে। বিএনপির সকল ইউনিট তার পক্ষে কাজ করেছে, কিন্তু তখনও তিনি সে সময়ের মহাজোট প্রার্থীর কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘নির্বাচনে মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিমের পক্ষে কাজ করতে গিয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলায় দলের বহু নেতা-কর্মী হামলা, মামলা এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছে, কিন্তু মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিম একবারের জন্যও কারও খোঁজখবর নেননি।’
এতে উল্লেখ করা হয়, ‘আমরা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিমকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলাম। পাশাপাশি তাকে আমরা চট্টগ্রামে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলাম।
দলের কেউ তার সঙ্গে যোগাযোগ বা তাকে কোনো ধরনের সহযোগিতা করলে তার বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আলাদা বিবৃতিগুলোতে স্বাক্ষর ছিল হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ, সদস্য সচিব গিয়াসউদ্দিন চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. মুরাদ চৌধুরী, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল আলম জনি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. আকবর আলী, উত্তর জেলা জাসাসের সভাপতি কাজী সাইফুল ইসলাম টুটুল, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক লায়লা ইয়াসমিনসহ অনেকের।
এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করেও সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে পাওয়া যায়নি।