বিএনপির জোটের শরিকরা পালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি বলেছিল জোটের সমর্থন নিয়ে তারা দুর্বার আন্দোলনের চেষ্টা করছে; নির্বাচনটাকে ঠেকিয়ে দেবে। অথচ যারা তাদের বাতাস দিয়েছিল, তাদেরও বাতাস ফুরিয়ে গেছে। আর গতকালই (বুধবার) তাদের ১২ দলীয় জোট থেকে তিনটা নিবন্ধিত দলসহ ৬টি দল বের হয়ে গেছে।
‘জোটের শরিকরাও পালিয়ে যাচ্ছে। আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা দিয়েছে। আমার শঙ্কা, যেভাবে তৃণমূল বিএনপি আগাচ্ছে, তাতে বিএনপি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।’
ওই সময় বিএনপি কর্মসূচির নামে গাড়ি পোড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আন্দোলনের নামে গুহা থেকে বের হয়ে অনলাইনে চেহারা দেখিয়ে বিএনপির কর্মসূচির নামে গাড়িঘোড়া পোড়ানো, আগুনসন্ত্রাস চালানো, মানুষের ওপর বোমা নিক্ষেপের কর্মসূচি ঘোষণা করা হচ্ছে। এগুলো কোনো রাজনৈতিক ককর্মসূচি হতে পারে না। এর বিরুদ্ধে দয়া করে আপনারা কলম ধরুন, কথা বলুন।’
গত ২৮ অক্টোবর সাংবাদিকদের মারধরের কথা উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশের নামে ৩২ জন সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। একজন সাংবাদিককে টানাহেঁচড়া করে মাটিতে ফেলে তাকে পেটানো হয়েছে। এর মধ্যে ২০ জনের বেশি হচ্ছে বিএনপি বিটের সাংবাদিক। তাদেরকে তারা চেনে। তারপরও মেরেছে। বাংলাদেশে এক দিনে এতো সাংবাদিককে আহত করা আগে কখনও ঘটে নাই।
‘শুধু তাই নয়, তারা যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন খুলনার হুমায়ুন কবীর বালু, মানিক সাহা, যশোরের সাইফুল ইসলাম মুকুল, শামসুর রহমানসহ সাত বছরে ১৪ জন সাংবাদিককে শুধু খুলনা, যশোর এলাকাতেই হত্যা করেছে। সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি-জামায়াতের কেন জানি ক্ষোভ এবং তারা যখনই ক্ষমতায় ছিল, সাংবাদিকদের হত্যা করেছে।’
বিএনপির কার্যালয়ে তালা নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই তালা প্রশাসন দেয়নি। ওরাই তালা মেরে চলে গেছে। একটা তালা খোলার মানুষ নাই তাদের।
‘একটা তালা খুলে ওখানে বসার সাহসটাও তারা হারিয়ে ফেলেছে। তারা কীভাবে রাজনীতি করে?’
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সাংবাদিকবান্ধব, এই ট্রাস্ট তার অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সাংবাদিকদের একটি ভরসার স্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনাকালে এককালীন সহায়তা হিসেবে ১০ হাজারের বেশি সাংবাদিককে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ জন্য ১০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছেন।’
মন্ত্রী ও অতিথিরা আজ ১৮৬ জন সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের হাতে এক কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করেন।