বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জোটগতভাবে ভোটে অংশ নেবে কল্যাণ পার্টি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২২ নভেম্বর, ২০২৩ ১৯:৫৮

সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘আমাকে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে- নিশ্চুপ থাকব নাকি বিকল্প পন্থা অবলম্বন করব। ২৮ অক্টোবরের পর এটা একটা সুনির্দিষ্ট অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। বিকল্প পন্থা নিলাম। কারণ, আমি যে কথাগুলো বলার চেষ্টা করি সেটা সংসদে বলবো।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটগতভাবে অংশ নিচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে সরকারবিরোধী আন্দোলনে থাকা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের কল্যাণ পার্টি। তার নেতৃত্বেই তিনটি নিবন্ধিত দলের সমন্বয়ে যুক্তফ্রন্ট নামে নতুন রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশও ঘটেছে বুধবার।

জোটের মধ্যে থাকা দলগুলো হলো- বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি (হাতঘড়ি প্রতীক), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল (হাতপাঞ্জা প্রতীক) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (কাঁঠাল প্রতীক)।

বুধবার সাকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন এই জোটের আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম বীর প্রতীক নতুন জোট গঠনের ঘোষণা দিয়ে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটগতভাবে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘আমরা আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত হয়েছি। যুক্তফ্রন্ট জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটগতভাবে অংশ নেবে। এর জন্য আমরা একটি বড় ঝুঁকি নিচ্ছি। অতীতেও আন্দোলনের অংশ হিসেবে বড়-ছোট দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।

‘সম্ভাবনা আছে তফসিলে ঘোষিত মনোনয়নপত্র দাখিলের তারিখ পেছানোর। মনোনয়নপত্র দাখিলের তারিখ ৩০ নভেম্বর থেকে পেছালে বাকি তারিখগুলোও আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি পাবে।’

সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘আমাকে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে- নিশ্চুপ থাকব নাকি বিকল্প পন্থা অবলম্বন করব। ২৮ অক্টোবরের পর এটা একটা সুনির্দিষ্ট অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। বিকল্প পন্থা নিলাম। কারণ, আমি যে কথাগুলো বলার চেষ্টা করি সেটা সংসদে বলবো।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিন্তু বিদ্যমান পরিস্থিতির কারণে সেই তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি আসছে না। ফলে আমাকে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে- যা আছে তার মধ্যে থেকে আমি অংশ নেবো নাকি সবকিছু থেকে বিরত থাকবো। আমি প্রথম বিকল্পটা বেছে নিয়েছি।’

আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘আশা করি নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু হবে। অতিরিক্ত আশা করি সরকার ও নির্বাচন কমিশন সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেবে। এর নিশ্চয়তা আমার পক্ষে দেয়া কোনোদিনও সম্ভব নয়। কারণ যদি না হয় আমিও একজন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি হব এবং সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সংলাপের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ আন্তর্জাতিক বিশ্বের প্রতি আহ্বান রাখব উভয়ের মধ্যে গ্রহণযোগ্য পরিবেশে সংলাপের ব্যবস্থা করুন। জাতির মঙ্গলের জন্য সংলাপের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন।‘’

যুক্তফ্রন্ট কটি আসনে নির্বাচন করবে জানতে চাইলে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, সেটা এখনও স্থির করিনি। তবে আমাদের ১০০টি আসনে নির্বাচন করার প্রস্তুতি রয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মহাসচিব জাফর আহমেদ জয়, নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত মহাসচিব ফারুকুল ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ চেয়ারম্যান শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, অতিরিক্ত মহাসচিব তফাজ্জেল হোসেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আব্দুল আউয়াল মামুন, স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য অধ্যাপক ডা. ইকবাল হাসান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছিল।

এ বিভাগের আরো খবর