যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিলে বিএনপি ১০ হাজার টাকা দেয় বলে দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বুধবার দুপুরে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) প্রকাশিত সাংবাদিক স্বপন কুমার কুন্ড রচিত ‘সাংবাদিকতার অ আ ক খ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের কাছে এমন দাবি করেন তিনি। পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, কর্মকর্তা এবং গ্রন্থকার মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন। মন্ত্রী গ্রন্থটির লেখক ও প্রকাশককে ধন্যবাদ জানান এবং সাংবাদিক ও আগ্রহীদের জন্য বইটিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করেন।
বিএনপির বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির এটি কি জঘন্য ন্যক্কারজনক ঘৃণ্য রাজনীতি যে, গাড়িতে বা কোনো যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিলে ১০ হাজার টাকা পেমেন্ট দেয়া হয়। আবার সেটা নিশ্চিত করার জন্য ভিডিও ধারণ করে লন্ডনে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে এবং এখানের ঊর্ধ্বতন নেতাদের কাছে পাঠাতে হয়। এটি কি কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ? জঙ্গি, সন্ত্রাসী সংগঠনও তো এ রকম কাজ করে না।’
তিনি বলেন, ‘তাদেরকে (বিএনপি) এ দেশে রাজনৈতিক দল বলা হয় এবং তাদের সাথে আলোচনার কথাও কেউ কেউ বলে। এখন অবশ্য বলে না, তবে এই অপরাজনীতি যারা করে, তাদের রাজনীতি করার অধিকার থাকা উচিত নয়।
‘অগ্নিসন্ত্রাসী যাদেরকে ধরা হয়েছে এবং যারা এই জবানবন্দি দিয়েছে, প্রত্যেকেই বিএনপির নেতা। একজন ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতিও আছেন সেখানে। অর্থাৎ, এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট জবানবন্দিগুলো থেকে যে, কারা এগুলো করছে। রিজভী সাহেব অন্তরালে বসে তাদের দলের পক্ষ থেকে এ নির্দেশগুলো দিচ্ছেন।’
সরকার বিএনপি থেকে বেরিয়ে এসে নির্বাচন করার জন্য কোনো নেতাদের চাপ দিচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চাপ সৃষ্টি করলে তো বিএনপির আরও অনেক নেতা চলে আসত। আমরা কাউকে চাপ দিচ্ছি না। বিএনপির অপরাজনীতির সাথে তারা দ্বিমত পোষণ করে, তারা এই ধ্বংসাত্মক রাজনীতির সহযাত্রী হতে চায় না বিধায় বা এই জ্বালাও-পোড়াও বদনামটা তাদের ঘাড়ে যাতে না পড়ে, সে জন্য এবং দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্যই বেরিয়ে এসে নতুন জোট করে নির্বাচন করার ঘোষণা দিচ্ছে বলে আমি মনে করি।’
‘কেউ কেউ দেশে বৃষ্টি হলে বিদেশে ছাতা ধরে’
সাংবাদিকরা ‘পোশাকশ্রমিক কল্পনা আখতার হুমকি বোধ করে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে জানিয়েছেন’ বিষয়ে বক্তব্য চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কেউ যদি নিরাপত্তাহীনতাবোধ করেন, তিনি প্রথমত পুলিশের দ্বারস্থ হন, অন্তত একটা জিডি করে। কল্পনা আক্তার কোনো জায়গায় জিডি করেছেন বা তিনি নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছেন, সেটিও মৌখিকভাবে কাউকে বলেছেন বলে আমাদের জানা নেই। এখন কেউ যদি বাংলাদেশে বৃষ্টি হলে ওয়াশিংটনে ছাতা ধরে তাহলে সে নিয়ে আমার বলার কিছু নাই।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে কিছু মানুষ আছে, দেশে বৃষ্টি হলে হয় মস্কোতে ছাতা ধরে, না হয় ওয়াশিংটনে ছাতা ধরে। আবার কেউ কেউ পিকিংও যায় ছাতা ধরতে। এখন বিষয়টা সে রকম কি না, আমি জানি না, তবে এ নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন যে, এটি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে, প্রয়োজনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কাছে জানতে চাইবে।’