আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে ভোটের রাজনীতিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দল জাতীয় পার্টি (জাপা)।
জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বুধবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।
নির্বাচনের জন্য আস্থার শতভাগ পরিবেশ এখনও সৃষ্টি হয়নি এবং ভোটে অংশ নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের জানাবেন বলার এক দিন পর চুন্নু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জাপা মহাসচিব বলেন, ‘ইলেকশনকে কেন্দ্র করে জাতীয় পার্টি নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়া আরম্ভ করেছে। চূড়ান্তভাবে নির্বাচনে যাব কি না, সেই ঘোষণাটা আমরা দিইনি এবং এ নির্বাচনি প্রক্রিয়া আরম্ভ করার সাথে সাথে আপনাদের যে সমর্থন এবং সহযোগিতা পেয়েছি, বিশেষ করে আমাদের কার্যক্রমগুলি, কথাবার্তাগুলি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে—ইলেকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়াসহ সোশ্যাল যে সমস্ত মাধ্যম, সেগুলোতে আপনারা যেভাবে উপস্থাপন করেছেন, সত্যি জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আপনাদেরকে দলের পক্ষ থেকে পূর্বে বলেছিলাম যে, আমরা নির্বাচনে যাওয়ার লক্ষ্যে যে প্রাথমিক কাজগুলি, প্রস্তুতিগুলি, সেগুলি আমরা গ্রহণ করেছি, কিন্তু আমরা নির্বাচনে যাব কি না, এটা আমরা পরিবেশ, আস্থা আসবে, ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবে, ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে, এ রকম একটা বিশ্বাসযোগ্য, আস্থা যদি পাই, তাইলে আমাদের চেয়ারম্যান তখন তিনি এ বিষয়ে ৩০ তারিখের আগেই ডিক্লেয়ার করবেন বা যেকোনো সময়। আমরা ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনসহ সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদেরকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, আগামী নির্বাচন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার (অবাধ ও নিরপেক্ষ) হবে। সেখানে কোনো রকম ইন্টারফেয়ারেন্স (হস্তক্ষেপ) হবে না। সেখানে কোনো রকম হস্তক্ষেপ করা হবে না। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে এসে তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।
‘এ রকমভাবে সংশ্লিষ্ট মহল, নাম বলব না, সংশ্লিষ্ট মহল আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছে। তাদের এ আশ্বস্ততার কারণে, তাদের প্রতিশ্রুতির প্রতি আমাদের একটা বিশ্বাস হওয়ার মতো অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সে বিশ্বাস হওয়ার কারণে আমাদের মাননীয় চেয়ারম্যান, জাতীয় পার্টির, বিরোধীদলীয় উপনেতা পার্লামেন্টের, গোলাম মোহাম্মদ কাদের আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, আপনাদের সামনে ঘোষণা করার জন্য তার পক্ষ থেকে যে, আমরা যেহেতু সংশ্লিষ্ট মহল, সরকার এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশন এবং আরও বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা আশ্বস্ত হতে পেরেছি নির্বাচন ফেয়ার হবে, তাই মাননীয় চেয়ারম্যানের রিকোয়েস্টে (অনুরোধ) আমি তার পক্ষে আগামী যে নির্বাচন, জানুয়ারির ৭ তারিখ যেটা হবে, সেই নির্বাচনে যাওয়ার আমরা ঘোষণা করছি আনুষ্ঠানিকভাবে।’