বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রশাসনের কেউ কোনো নির্দিষ্ট পক্ষে গেলে ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২২ নভেম্বর, ২০২৩ ১৬:০৪

ইসি মো. আলমগীর বলেন, ‘একটা যুক্তি তো থাকতে হবে। এ ছাড়া তাদের যে ভ্রমণভাতা কে দেবে? কয়েক শ কোটি টাকা, এই টাকা কে দেবে? অবশ্যই বদলি করব, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকবে, প্রমানিত হলে ব্যবস্থা হবে।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে প্রশাসনের হাজারো কর্মকর্তা বদলি করা হলে প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায়, দেশ পরিচালনায় এবং নির্বাচন পরিচালনায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। বিশৃঙ্খলা হলে এই দায়িত্ব কে নেবে সে প্রশ্নও তোলেন এই কমিশনার।

তিনি বলেন, ‘একটা লজিক (যুক্তি) থাকতে হবে। তার বিরুদ্ধে স্পেসেফিক (সুনির্দিষ্ট) অভিযোগ থাকতে হবে। যদি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে তিনি নিরপেক্ষ নন, কারও পক্ষে কাজ করছেন, তখন দেখব।’

বুধবার রাজধানীর আগারাগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এসব কথা বলেন ইসি মো. আলমগীর।

কোন যুক্তিতে আমরা সবাইকে বদলি করব- মন্তব্য করে এই কমিশনার বলেন, ‘একটা যুক্তি তো থাকতে হবে। এ ছাড়া তাদের যে ভ্রমণভাতা কে দেবে? কয়েক শ কোটি টাকা, এই টাকা কে দেবে? অবশ্যই বদলি করব, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকবে, প্রমানিত হলে ব্যবস্থা হবে।’

সরকারি দল নিজেদের মতো প্রশাসন সাজিয়ে রেখেছে- এমন অভিযোগের বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, ‘১৯৭০ সাল থেকে এই অভিযোগ শুনছি। তখনো এই অভিযোগ করতো। তখন আমি ইত্তেফাক পত্রিকা পড়তাম। সেখানে দেখেছি। অযৌক্তিক কারণে কাউকে বদলি নয়। যদি যৌক্তিক থাকে যে, এই অফিসার নিরপেক্ষ নয় সেগুলো সরিয়ে নেব।’

আচরণবিধিমালা প্রতিপালনে নির্বাচন কমিশনের অবস্থান আচরণবিধিমালায় যা বলা আছ সে অনুযায়ী বলে জানান মো. আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘আচরণবিধিতে সবকিছুই নিষিদ্ধ করা নেই। যেগুলো নিষিদ্ধ করা আছে সেগুলোর জন্য ব্যবস্থা নিয়েছি। পার্টি অফিসে মনোনয়ন ফর্ম কেনার সময় সেটা আমাদের আচরণবিধির মধ্যে পড়ে না। অফিসের ভেতরে তারা কী করলো না করলো এটা আচরণবিধির মধ্যে পড়ে না।’

৬৬ জন রিটার্নিং অফিসার এই আচরণবিধি দেখবেন বলে জানান এই কমিশনার। তিনি বলেন, ‘আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আর জুডিয়াশাল ম্যাজিস্ট্রেটযারা আছেন, প্রার্থীরা যদি আচরণবিধি ভঙ্গ করলে তারা আচরণবিধি দেখবেন।’

দলীয় অফিসের সামনে গাড়ি নিয়ে, মোটরসাইকেলে প্রার্থী প্রচারণা করতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেছেন কমিশনার মো. আলমগীর। বলেন, মনোনয় কিনে তা নিয়ে উল্লাস প্রকাশ করতে পারবে। অফিসে যে আনন্দ উল্লাস সেটা তো করতেই পারবে।’

রাজনৈতিক দল ভোট চাইতে পারে জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, ‘সুনির্দিষ্টভাবে তো কারো জন্য ভোট চাইছে না। যেহেতু এখনো কোনো প্রার্থীই নাই। তারা ভোট চাইলে দলের জন্য ভোট চাইছে। ভোট তো সারাবছরই চাচ্ছে এটা কোনো সমস্যা না। তবে এলাকায় শো- ডাউন করলে সেটা আচরণবিধির মধ্যে পড়বে।’

গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ প্রসঙ্গ টেনে এই কমিশনার বলেন, ‘পুলিশের কমিশনার, বিভাগীয় কমিশনার এর নিচে যত কর্মকর্তা আছেন তারা নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ছাড়া বদলি করতে পারবেন না।’

সবাই কমিশনের অধীনে এসেছে, এই আইন কোথায় পেয়েছেন- বলে সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন রাখেন এই কমিশনার।

তিনি বলেন, ‘কোনো বিভাগের কোনো কর্মকর্তা কর্মচারীর আচরণ যদি নির্বাচন কমিশনের কাছে মনে হয় তাদের আচরণ নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিপক্ষে, তখন নির্বাচন কমিশন সেখান থেকে তাকে বদলি করতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর