ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিপরীত দিকে হজ ক্যাম্পসংলগ্ন দক্ষিণখান থানার আশকোনা ও কাওলা এলাকায় অবস্থিত আশিয়ান সিটি প্রকল্পের কাজ চলতে বাধা নেই বলে রায় দিয়েছে আপিল বিভাগ।
বুধবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগ এ রায় দেয়। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী।
এ রায়ের মধ্যে দিয়ে বগত ১১ বছরের আইনি লড়াই শেষ হলো ভুক্তভোগীদের; যারা জমি কিনেও সেখানে বাড়ি বানাতে পারেননি এতদিন।
যথাযথ অনুমোদন না নিয়ে ২০০৬ সালে রাজধানীর উত্তরার দক্ষিণখান এলাকায় আশিয়ান সিটি প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু করে বলে দাবি করে এ নিয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্র, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ও বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতিসহ (বেলা) আটটি সংগঠন ২০১২ সালে হাইকোর্টে রিট করে।
সেই রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ১৬ জানুয়ারি হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে প্রকল্প অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয়। এ রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে আশিয়ান সিটি কর্তৃপক্ষ।
২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট রিভিউ মঞ্জুর করে প্রকল্প অবৈধ ঘোষণার রায় বাতিল করে। এই রায়ের রিট আবেদনকারী পক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে।
আপিল বিভাগ ২০১৭ সালের ৭ আগস্ট লিভ মঞ্জুর করে। একই সঙ্গে হাইকোর্টের দেওয়া রিভিউর রায় স্থগিত করে। এ ছাড়া আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আশিয়ান সিটি প্রকল্পের সব ধরনের কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দেয়া হয়। ২০১৭ সালে পৃথক আপিল করে রিট আবেদনকারী পক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। আশিয়ান সিটির পক্ষে ছিলেন কৌঁসুলি আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী ও আহসানুল করিম শুনানি করেন। আর পরিবেশবাদী সংগঠন বেলার পক্ষে ছিলেন রিজওয়ানা হাসান।