একটা সময় ছিল দেশে ধর্মভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান- মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে চর্চা হতো খুবই কম। তবে এখন সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। চট্টগ্রামসহ সারা দেশের লক্ষাধিক মাদ্রাসায় এই পরিবর্তনের পেছনে রয়েছেন এক নারী; নাম অ্যাডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরী।
মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীতের প্রচলন ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চর্চা নিয়ে কাজ করে বেশ কয়েকবার আলোচনায় এসেছেন চট্টগ্রামের এই আইনজীবী। এবার নৌকার মাঝি হয়ে সংসদে পৌঁছাতে চান তিনি৷ ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনে জমাও দিয়েছেন তিনি।
জিনাত সোহানা চৌধুরী বলেন, ‘আমি চট্টগ্রাম-৮ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছি। আমি রাজপথের একজন কর্মী হিসেবে সবসময় আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করেছি। যে কোনো দুর্যোগে সবসময় দলের পাশে ছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দিলে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও-বায়োজিদ) আসনের মানুষের সেবা করার সুযোগ পাব। আমি যদি নির্বাচিত হই তাহলে শুধু চট্টগ্রাম নয়, পুরো বাংলাদেশে কাজ করতে পারব। তার জন্যে প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা আমার আছে।’
অন্যদিকে একই আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন কিনেছেন জিনাত সোহানা চৌধুরীর স্বামী মোহাম্মদ ইমরানও। ইমরান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা স্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি। এর আগে দীর্ঘ সময় তিনি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
সুচিন্তা ফাউন্ডেশন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় সমন্বয়কের পাশাপাশি অ্যাডভোকেট জিনাত চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সদস্য। এছাড়া চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্স ও উইমেন্স চেম্বার অ্যান্ড কমার্স এবং পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতিরও (বিজিএমইএ) সদস্য তিনি।
গৃহহীন ৩৫০ জন মানুষকে ঘর নির্মাণ করে দেয়াসহ করোনাকালে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে দীর্ঘদিন চট্টগ্রামে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন অ্যাডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরী। তবে অনেকটা অন্ধকারে থাকা মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও জয় বাংলা স্লোগান চর্চা নিয়ে কাজ করে দেশব্যাপী আলোচিত হন এই নারী নেত্রী।