সুদর্শন চেহারা আর শুদ্ধ বাংলায় বাঁচন ভঙ্গি। পেশায় এনজিও কর্মী। তাতেই পুলিশকে বোকা বানানোর চেষ্টা ছিল ২৫ বছর বয়সী আরিফ উল্লাহের। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তাদের দক্ষতার কাছে অবশেষে হেরে গেলেন এই এনজিও কর্মীর আড়ালে থাকা অস্ত্র ব্যবসায়ী।
তাকে গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার দুপুরে এসব তথ্য জনিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মিজানুর রহমান। আরিফের কাছ থেকে দুইটি নতুন তৈরি এলজি উদ্ধার করা হয় বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
আরিফ উল্লাহ মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পানিরছড়ার বারঘর পাড়ার বাসিন্দা। গত এক বছর ধরে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী বা বিশেষ গোষ্ঠীর কাছে অস্ত্র সরবরাহ করে আসছেন তিনি। যার প্রতিটি অস্ত্রের মূ্ল্য ১৮ হাজার টাকা। আর এ অস্ত্রগুলো তৈরি হয় মহেশখালীর গহীন পাহাড়ের কারখানায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, এনজিও কর্মী পরিচয় এর আগেও কয়েকবার অস্ত্র নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র পাচার করেছে আরিফ। সোমবার রাতে শহরের ৬নং ঘাট থেকে তাকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। সুদর্শন চেহারা বা বাঁচন ভঙ্গির কারণে পুলিশকে বেশ বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা ছিল এই অস্ত্র ব্যবসায়ীর। কিন্তু পুলিশের দক্ষতায় আটকা পড়েন তিনি।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে তার ওপর নজর রাখছিল পুলিশ। এনজিও কর্মী পরিচয় বার বার অস্ত্র নিয়ে যেতো আরিফ। তাদের সিন্ডিকেটের ব্যাপারে তথ্য নেয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে তাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।’