টাঙ্গাইল আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বাস-কোচ-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার বাদির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় শনিবার রাতে মামলা হওয়ার পর ৩০ বছর বয়সী সৌরভ পাল নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশ।
সৌরভ পালকে শহরের থানাপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি আবদুস ছালাম মিয়া।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ‘ভোরে শহরের থানাপাড়া থেকে সৌরভকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল রাতে এশার বোন লুনা মির্জা বাদি হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচণা দাবী করে এশার বড় ভাই জনি মির্জা ও সৌরভ পালকে আসামি করে মামলা করে। আজ সৌরভ পালকে আদালতে তোলা হবে। আদালতে ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের করের বেতকা নিজ বাসা থেকে এশা মির্জার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৫ এপ্রিল রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় এশা বাদি হয়ে গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় এশা ধর্ষণের কারণে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন। পরে ৬ এপ্রিল দুপুরের দিকে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন ওই কিশোরী।
মামলার পর গোলাম কিবরিয়া উচ্চ আদালত থেকে অন্তরবর্তিকালিন জামিন লাভ করেন। পরে নিম্ন আদালতে হাজির হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৩০ জুন টাঙ্গাইল শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে এশা পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। পরে আদালতের নির্দেশে এশার গর্ভে জন্ম নেয়া শিশুর ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার প্রতিবেদনে জন্ম নেয়া ওই শিশুটির পিতা গোলাম কিবরিয়া নন বলে জানা যায়। পরে আদালত গত ৯ অক্টোবর গোলাম কিবরিয়াকে ১১ জুলাই উচ্চ আদালতের দেয়া জামিন বহাল রাখেন। পরে তিনি মুক্তি লাভ করেন। ধর্ষনের এই মামলাটি টাঙ্গাইলের পুলিশ ব্যুারো অব ইনভেস্টিগেশন (পিপিআই) তদন্ত করছে।