বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আসুন সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাই: প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৯ নভেম্বর, ২০২৩ ১৫:৫১

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসুন এমন একটি বাংলাদেশ করে তুলি যেখানে একজন মানুষও দরিদ্র থাকবে না। প্রতিটি মানুষ উন্নত জীবন পাবে। আসুন সব প্রতিকূলতা অতিক্রম করে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাই।’

বিজয়ী জাতি হিসেবে বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়তে চান মন্তব্য করে সমৃদ্ধির পথে সবাইকে শরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাজধানীর একটি হোটেলে রোববার সকালে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি) ৬০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠান ও ইনভেস্টমেন্ট এক্সপো-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসুন এমন একটি বাংলাদেশ করে তুলি যেখানে একজন মানুষও দরিদ্র থাকবে না। প্রতিটি মানুষ উন্নত জীবন পাবে। আসুন সব প্রতিকূলতা অতিক্রম করে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাই।’

দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশে বেশি বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিনিয়োগের সুবিধার্থে বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থাগুলোতে ওয়ান স্টপ পরিষেবা চালু করা হয়েছে। বিনিয়োগ পরিষেবা প্রদানকারী সমস্ত অফিস সম্পূর্ণ অনলাইন এবং ডিজিটালাইজড করার পদক্ষেপও হাতে নেয়া হয়েছে।’

একই সঙ্গে কর মওকুফ, রেমিট্যান্স রয়্যালটি, প্রস্থান নীতি, লভ্যাংশ এবং মূলধন সম্পূর্ণ প্রত্যাবর্তন, আইন দ্বারা বিদেশি বিনিয়োগ সুরক্ষাসহ বিনিয়োগ নীতিকে আরও সহজ করার জন্য আরও বেশি পদক্ষেপ গ্রহণের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বিচক্ষণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, অর্থনৈতিক উদারীকরণ এবং বাণিজ্য সংহতকরণের ওপর ভিত্তি করে আজকের এই টেকসই অর্থনীতি ও উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। আশাকরি ২০৩৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২০তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ, ২০৪১ সালে হবে স্মার্ট বাংলাদেশ, উন্নত বাংলাদেশ।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সারা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে দিচ্ছি। ৩৯টি হাই-টেক পার্ক প্রতিষ্ঠা প্রতিষ্ঠা করেছি। এগুলো বিদেশি বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। এককভাবে যদি কোনো দেশ এক খণ্ড জমি চায় আমরা তাও দেব। আর যদি কেউ যৌথ উদ্যোগে করতে চান সেটাও করা হবে। বিভিন্নভাবে আমরা সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা অনেকগুলি সংস্থা তৈরি করেছি। বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা), বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটি (বেজা), বাংলাদেশ ইকোনমিক প্রসেসিং জোন অথরিটি (বেপজা), বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক অথরিটি (এইচটিপিএ) এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটি (পিপিপিএ)। এগুলো অথরিটি করে দিয়েছি। যাতে কাজ করতে সুবিধা হয়। স্বাধীনভাবে সব স্বশাসিত হয়ে কাজ করতে পারে।’

ব্লু ইকোনমি খাতে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২৫ সালের মধ্যে শুধু লজিস্টিকস খাতই ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজারে পরিণত হবে বাংলাদেশ। ২০৩০ সালের মধ্যে ৯ম বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে পরিণত হবে এ দেশ। সে সময় যুক্তরাজ্য এবং জার্মানির মতো প্রতিষ্ঠিত বাজারগুলো এবং বর্তমান উচ্চ-প্রবৃদ্ধির ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ডকে যাতে বাংলাদেশ ছাড়িয়ে যেতে পারে, সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি।’

তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ও শক্তিশালী রপ্তানি কৌশল এবং শিল্পনীতি বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে। আমরা ২০৩১ সালের মধ্যে জিডিপিতে বেসরকারি বিনিয়োগের অনুপাত ৩১ দশমিক চার-তিন শতাংশে উন্নীত করতে চাই। প্রায় সতের কোটি মানুষ আমাদের বাংলাদেশ। এ ছাড়া আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করেছি। বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে ৯ম বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে পরিণত হবে বলে আমাদের ধারণা। তখন যুক্তরাজ্য এবং জার্মানির মতো প্রতিষ্ঠিত বাজারগুলোকে এবং বর্তমান উচ্চ-প্রবৃদ্ধির ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ডকে বাংলাদেশ যাতে ছাড়িয়ে যেতে পারে সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের বিশাল জনসংখ্যা রয়েছে সেটাকে দক্ষ জনশক্তি হিসাবে গড়ে তুলছি।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘২০৪০ সালের মধ্যে আনুমানিক মাথাপিছু জিডিপি দাঁড়াবে ৫ হাজার ৮৮০ মার্কিন ডলার। কৌশলগত ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ ৩০০ কোটি মানুষের আঞ্চলিক বাজারের কেন্দ্রস্থল হতে পারে। আমাদের যে ভৌগোলিক অবস্থান রয়েছে, সেইভাবে আমাদের অবকাঠামো, যোগাযোগ ব্যবস্থা আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থার পদক্ষেপ নিয়ে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কাঠামোগত উন্নয়ন কর্মসূচি, বিনিয়োগবান্ধব নীতি, বৃহৎ অভ্যন্তরীণ বাজার, কৌশলগত অবস্থান, উচ্চ মুনাফা, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সুবিধার কারণে বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশের কাছে বিনিয়োগ, শিল্পায়ন এবং রপ্তানির জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর