জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের দেয়া এ সংক্রান্ত রায়ের বিরুদ্ধে দলটির করা আপিল শুনানিতে রোববার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেয়।
জামায়াতের পক্ষে কোনো আইনজীবী এদিন উপস্থিত না থাকায় আবেদনটি খারিজ করে দেয় পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। এর ফলে আসন্ন নির্বাচনে জামায়াতের অংশ নেয়ার পথ বন্ধ হলো।
এ ছাড়া জামায়াতের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনে সাড়া দেয়নি আদালত। বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে যেতে বলা হয়েছে।
আদালতে জামায়াতের জন্য সিনিয়র আইনজীবীদের পক্ষে ছিলেন জিয়াউর রহমান। অন্যপক্ষে ছিলেন আইনজীবী তানিয়া আমীর ও আহসানুল করিম।
পরে আইনজীবী জিয়াউর রহমান বলেন, জায়ামাতের আপিলের পক্ষে শুনানির জন্য সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হতে পারেননি। তার পক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীনও উপস্থিত ছিলেন না। যে কারণে আমরা তাদের পক্ষে সময় চেয়ে আবেদন করি।
তিনি বলেন, আদালত বিষয়টি জামায়াতের আপিল আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে। আর আদালত অবমাননার আবেদনটি যেহেতু এটা আপিল আদালতের বিরুদ্ধে অবমাননা না সে কারণে আবেদনকারীরা প্রয়োজনে হাইকোর্টে যেতে পারেন বলে সেটিও আর শোনেনি আদালত।
এ রায়ের পরে আপনারা কী করবেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না বলে খারিজ হয়েছে, সেহেতু এখন সিনিয়র আইনজীবীদেরকে জানাব, পরে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।
জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা এবং নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পরও রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে নিবন্ধন ফেরত চাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে আবেদন করেন মওলানা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, মো. হুমায়ন কবির ও ইমদাদুল হক নামে তিন ব্যক্তি।
১০ বছর পর গত ১০ জুন রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সমাবেশ করে জামায়াত। এ কর্মসূচি থেকে তাদের নিবন্ধন ফিরিয়ে দেয়াসহ বেশ কয়েকটি দাবি করেন। যা নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনার ঝড় ওঠে।
২০০৯ সালের এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জামায়াতকে নির্বাচন কমিশনের দেয়া নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেয় হাইকোর্ট। এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে জামায়াত।