পার্বতীপুরে জ্বালানি তেলবাহী একটি ট্যাংক লরিতে বিস্ফোরনের ঘটনায় এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুই শ্রমিক।
শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে শহরের বাস টার্মিনালে রতন মোটর গ্যারেজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ওয়েলডিং মিস্ত্রি ৩০ বছর বয়সী রতন হোসেন দিনাজপুর শহরের শেখপুরা রেলগেট এলাকার আবু কালামের ছেলে।
আহতরা হলেন- ওয়েলডিং মিস্ত্রির সহকারী ১৬ বছরের নাহিদ এবং বাসের সুপার ভাইজার ২০ বছর বয়সী বাদশা। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাদশাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও নাহিদকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সাকিব আল হাসান জানান, বাস টার্মিনাল এলাকায় রতন রোজামনি ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে তেলবাহী লরিটি মেরামতের কাজ করছিলেন ওয়েলডিং মিস্ত্রি রতন ও নাহিদ। তারা লরিটির ঢাকনা না খুলেই ঝালাইয়ের কাজ শুরু করেন। এক পর্যায়ে বিকট শব্দে লরিটি বিস্ফোরিত হয়; উড়ে যায় লরির পেছনের ঢাকনাসহ সামনের কেবিন। এ সময় পাশে থাকা মিথুন নামের একটি যাত্রীবাহী বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দুর্ঘটনাকালে পাশে থাকা একটি যাত্রীবাহী বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ছবি: সংগৃহীত
লরির ড্রাইভার সেরাজুল ইসলাম জানান, তিনি তার লরিটি মেরামত করতে দিয়ে পাশের দোকানে চা খেতে যান। হঠাৎ করে বিকট শব্দ শুনে ছুটে এসে দেখেন ওয়েলডিং মিস্ত্রি রতন ও তার সহকারী নাহিদ ও বাসশ্রমিক বাদশা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন।
রতনকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রাত সোয়া ৮টার দিকে তিনি মারা যান বলে জানান ড্রাইভার সেরাজুল।
পার্বতীপুর মডেল থানার ওসি আবুল হাসনাত খান বলেন, ‘সতর্কতার সঙ্গে লরি মেরামতের কাজ না করায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনায় ওয়েলডিং মিস্ত্রি রতন মারা গেছেন ও দুই জন চিকিৎসাধীন আছেন।’