দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ ও প্রার্থিতা নিয়ে বিপরীতধর্মী বক্তব্য সংবলিত দুটি চিঠি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পাঠিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের ও দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বরাবর লেখা চিঠিতে শনিবার রওশন এরশান জানান, আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক দল হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা হবে শুধু নির্বাচনী জোট। নির্বাচনের সময়ে জাতীয় পার্টির নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা দলীয় সিদ্ধান্ত অনুসরণ করবেন।
রওশনের চিঠিতে আরও বলা হয়, আসন্ন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক ‘লাঙ্গল’ কিংবা প্রার্থীর ইচ্ছানুসারে মহাজোটে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে পারবেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।
একই দিনে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনকে এক চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে মনোনীত প্রার্থী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি দলের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।
রওশন এরশাদের দেয়া চিঠির আগেই সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বরাবর চিঠি দেন দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
চিঠিতে জিএম কাদেরের পদবী ও নমুনা সইয়ের বিষয়ে সিইসিকে জানানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দলটির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু।
জিএম কাদেরের চিঠিতে জানানো হয়, জাতীয় পার্টির (নিবন্ধন নং-১২) পক্ষ থেকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রদানের ক্ষেত্রে আরপিও এর আর্টিকেল ১২ (৩ এ) (বি) এবং ১৬-এর (২)(৩) অনুযায়ী সংসদ সদস্য পদে রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে দলের প্রার্থী মনোনয়ন ও প্রতীক বরাদ্দ করবেন- জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরে রওশন এরশাদ ও গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে কেন্দ্র করে শক্তিশালী গ্রুপিং রয়েছে যা আগেও দলটির অনেক কার্যক্রমে স্পষ্ট হয়েছে। এমনকি তফসিল ঘোষণার পর রওশন এরশাদ একে স্বাগত জানালেও জিএম কাদেরের পক্ষ থেকে পরিষ্কার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।