রাজধানীসহ সারা দেশে ককটেল নিক্ষেপ ও বাসে অগ্নিসংযোগ করে নাশকতা সৃষ্টির ‘অন্যতম মূল পরিকল্পনাকারী’ মো. নূর নবী পাশা ওরফে সবুজকে রাজধানীর কদমতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১০।
ঢাকার কদমতলী থানাধীন দনিয়া এলাকায় শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার নূর নবী পাশা জিয়া সাইবার ফোর্সের সাংগঠনিক সম্পাদক।
র্যাব-১০ এর উপপরিচালক সহকারী পরিচালক (অপস্) আমিনুল ইসলাম জানান, গত ২৮ অক্টোবর থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাস্তবায়ন ও বিএনপি নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা অবরোধের নামে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাস, ট্রাক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, লেগুনা, অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন পরিবহন ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপ/দাহ্য পদার্থ দিয়ে বাসে অগ্নিসংযোগ করে।
এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্যদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এমনকি গত ২৮ অক্টোবরের নারকীয় তাণ্ডবে একজন পুলিশ কনস্টেবলকে লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যাসহ সারা দেশে ব্যাপক নাশকতা শুরু করে।
তিনি আরও জানান, এরই অংশ হিসেবে গত ১৬ নভেম্বর রাতে নূর নবী পাশা ওরফে সবুজসহ ২০ থেকে ২৫ জন বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মী দলবদ্ধ হয়ে গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপ এবং বাসে অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন প্রকার নাশকতামূলক কার্যকলাপ সংগঠনের উদ্দেশে সমবেত হয়। পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত নাশকতার প্রস্তুতির সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে দুর্বৃত্তরা কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে আসামিদের শনাক্ত করে নূর নবী পাশা ওরফে সবুজসহ ১৯ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও বেশ কয়েক জনের নামে একটি নাশকতার মামলা করে।
পরে মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ র্যাব-১০ কেরাণীগঞ্জকে একটি অধিযাচনপত্র পাঠায়। এরই ভিত্তিতে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় উক্ত নাশকতা প্রস্তুতির অন্যতম মূল পরিকল্পনাকারী জিয়া সাইবার ফোর্সের সাংগঠনিক সম্পাদক নূর নবী পাশাকে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি নাশকতার পরিকল্পনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার সত্যতা স্বীকার করেছে।
গ্রেপ্তার আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।