বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কেউ নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৮ নভেম্বর, ২০২৩ ১৩:২৬

শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল করার যদি কেউ চেষ্টা করে আর যদি অগ্নিসন্ত্রাস অব্যাহত রাখে তাদের পরিণতি ভালো হবে না। যারা এসব করবে আমাদের দেশের মানুষেই তাদের শাস্তি দেবেন।’

যত অপচেষ্টাই করা হোক, কেউ নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন হতে না দেয়ার অনেক চক্রান্ত চলছে। কিন্তু সরকার সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী যথাসময়ে একটি অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। নির্বাচন হবে এবং এদেশের জনগণ ভোট দিয়ে সরকার নির্বাচিত করবে।’

বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে শনিবার সকালে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল করার যদি কেউ চেষ্টা করে আর যদি অগ্নিসন্ত্রাস অব্যাহত রাখে তাদের পরিণতি ভালো হবে না। যারা এসব করবে আমাদের দেশের মানুষেই তাদের শাস্তি দেবেন।’

প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘দেশবাসীর দোয়া চাই। যেন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনটা হয়। আর নির্বাচন যারা বানচাল করতে চায়, অগ্নিসন্ত্রাস করে মানুষকে পুড়িয়ে মারে, রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে মেট্রোরেল, থার্ড টার্মিনাল আমরা করে দিয়েছি, এগুলো যারা ধ্বংস করতে যাবে, আমি জনগণকে আহবান করব তাদেরকে প্রতিরোধ করতে।’

নির্বাচন বয়কট করা রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম অন্যান্য দলগুলো এভাবে নির্বাচনে আসবে। তবে যেসব দল নির্বাচনে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদেরকে সাধুবাদ জানাই, ধন্যবাদ জানাই। আর যাদের মানুষের ওপর আস্থা নেই, বিশ্বাস নেই বা দল হিসেবে যারা সুসংগঠিত না তারাই নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে যাচ্ছে। অথচ নির্বাচন বানচাল করলে একটা দেশের যে ক্ষতি হয়, তা খুবই দুঃখজনক।’

নির্বাচন ঠেকানোর নামে ২০১৩-১৪ সালের মতো এবার অগ্নি সন্ত্রাসের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা কোন ধরনের রাজনীতি? অগ্নিসন্ত্রাস করে জাতীয় সম্পদ নষ্ট করা, ব্যক্তিগত সম্পদ নষ্ট করা কোন ধরণের রাজনীতি? দেশের মানুষের কাছে আমার আহ্বান থাকবে, যারা এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কাজ করছে, জাতীয় সম্পদ নষ্ট করছে, আগুন দিয়ে সব পোড়াচ্ছে, সাধারণ মানুষের ওপর পেট্রোল বোমা মারছে, তাদেরকে প্রতিরোধ করতে হবে।

‘কারণ জনগণের ভোটের অধিকার অনেক আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা চাই জনগণের এই ভোটের অধিকারটা যেন অব্যাহত থাকে এবং ভোটের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তন হয়।’

আওয়ামী লীগ আন্দোলন সংগ্রাম করে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এই পর্যন্ত একটা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই কিন্তু বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নতি হয়েছে এবং দেশ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়ে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে বাংলাদেশ।

তিনি আরও বলেন, ‘দেশবাসী ভোট দিয়ে তাদের প্রিয় রাষ্ট্রপ্রধানকে নির্বাচিত করবেন। যার অধীনে সংসদ বসবে, আইন পাস হবে, রাষ্ট্র পরিচালনা হবে। কাজেই এটা জনগণের অধিকার। জনগণের অধিকার যারা নষ্ট করতে চেষ্টা করবে, জনগণের অধিকার যারা কেড়ে নিতে অগ্নিসন্ত্রাস করবে, জনগণই তাদের প্রতিরোধ করবে।’

এ সময় সরকার প্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এমন একটি সংগঠন, যে সংগঠনের জন্ম হয়েছিল দুঃখী মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের কথা চিন্তা করে। শোষিত-বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য ১৯৪৯ সালে এই সংগঠনের জন্ম। জন্মলগ্ন থেকে আওয়ামী লীগ তার গঠনতন্ত্র মেনে চলে, দেশের সংবিধান মেনে চলে, প্রতিটি কাজ অত্যন্ত সুচারুভাবে করে।

‘আজ যারা পার্টি থেকে প্রার্থী হবেন তারা এখান থেকে ফরম সংগ্রহ করবেন। তাদের জন্য আমরা আট বিভাগের দশটি বুথ তৈরি করে দিয়েছি। জাতীয় সংসদ সদস্যদের যে নম্বর থাকে বা সিরিয়াল থাকে, সেই সিরিয়াল অনুযায়ী ফরমগুলো সাজানো হবে। এভাবে প্রসেস করে মনোনয়ন বোর্ডে সেগুলো উপস্থাপন করা হবে। সংসদীয় বোর্ডের মাধ্যমে প্রার্থীর যোগ্যতা দেখে, তাদের জনপ্রিয়তা দেখে, তাদের কার্যক্রম বিবেচনা করে আমরা মনোনয়ন দিয়ে থাকি। আওয়ামী লীগ সব সময় সুসংগঠিতভাবে কাজ করে থাকে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতাকে হত্যা করার পর আমরা দেখেছি রাতের অন্ধকারে বন্দুক নিয়ে ক্ষমতা দখলের পালা চলছিল। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে, বৈধতা দেয়ার জন্য জনগণের ভোট নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমরা সংগ্রাম করেছি, আন্দোলন করেছি, আমাদের বহু নেতা-কর্মী জীবন দিয়েছে, নির্যাতিত হয়েছে। কিন্তু আমরা জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত একটা গণতন্ত্রের অব্যাহত আছে বলে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নতি হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর