বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাহাড় অরণ্য আর শাটল ট্রেনের ক্যাম্পাসের ৫৮ বছর

  •    
  • ১৮ নভেম্বর, ২০২৩ ১২:৪৭

১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর যাত্রা শুরু করে ৫৮তে পা রাখল দেশের একমাত্র ‘শাটল ট্রেনের’ ক্যাম্পাস। দীর্ঘ এ সময়ে নানা অর্জন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, জ্ঞান-বিজ্ঞানে অবদানের মাধ্যমে সমহিমায় দাঁড়িয়ে আছে এ বিশ্ববিদ্যালয়।

ভোরের সূর্য ওঠার পরই শুরু হয় তাড়াহুড়ো। ট্রেন ধরতে হবে; শাটল ট্রেন। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে একে একে ট্রেন ছুটে চলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে। হুঁইসেল বাজিয়ে সেই ট্রেন শিক্ষার্থীদের নিয়ে যায় দুই হাজার ৩০০ একরের ক্যাম্পাসে। ফিরেও আসে একইভাবে। প্রতিটি বগি ভরে ওঠে তারুণ্যে, গানে গানে, আড্ডায়। গল্পে, তর্ক-বিতর্কে শিক্ষার্থীরা মেতে থাকেন পুরোটা সময়।

বলছি দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কথা। পাহাড়, অরণ্য আর শাটল ট্রেনের ক্যাম্পাস খ্যাত সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মদিন আজ।

১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর যাত্রা শুরু করে ৫৮তে পা রাখল দেশের একমাত্র ‘শাটল ট্রেনের’ ক্যাম্পাস। দীর্ঘ এ সময়ে নানা অর্জন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, জ্ঞান-বিজ্ঞানে অবদানের মাধ্যমে সমহিমায় দাঁড়িয়ে আছে এ বিশ্ববিদ্যালয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিবহনের জন্য ছিল নিজস্ব ট্রেন, কিন্তু সেই ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর পৃথিবীতে চবিই এখন একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়ার জন্য রয়েছে নিজস্ব ট্রেন। এটি শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম।

প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী এ শাটল ট্রেনে যাতায়াত করে। আড্ডা-গল্পের আসর জমে বলে অনেকে এটিকে বলে ‘ভ্রাম্যমাণ বিশ্ববিদ্যালয়’।

১৯৬৬ সালে চারটি বিভাগ (বংলা, ইংরেজি, অর্থনীতি ইতিহাস) নিয়ে যাত্রা শুরু করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। শুরুতে শিক্ষক সংখ্যা ছিল আটজন। আর শিক্ষার্থী ছিল ২০৪ জন। তখন প্রথম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক ড. আজিজুল রহমান মল্লিক।

কালের পরিক্রমায় বর্তমানে ৯টি অনুষদ, ৪৮টি বিভাগ, ছয়টি ইনস্টিটিউট, পাঁচটি গবেষণা কেন্দ্র, ১৪টি হল ও একটি হোস্টেল, ৯০৬ শিক্ষক এবং প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থীকে নিয়ে দুই হাজার ৩০০ একর জায়গার ওপর নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। রাখছে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও গবেষণায় অবদান।

মুক্তিযুদ্ধের পাঁচ বছর আগে প্রতিষ্ঠা হওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান পর্বততুল্য। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখে প্রতিষ্ঠানটি। পরবর্তী সময়ে ১৯৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন এবং জাতীয় আন্দোলনগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল।

মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে শহীদ হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ শিক্ষার্থী, এক শিক্ষক ও তিন কর্মকর্তা ও কর্মচারী। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশল দপ্তরের কর্মচারী মোহাম্মদ হোসেনকে বীরপ্রতীক খেতাব দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে স্থাপিত স্মরণ স্মৃতিস্তম্ভে রয়েছে সাত মুক্তিযোদ্ধার ছবি ও পরিচয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ গ্রন্থাগার, যা দেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধ গ্রন্থাগারগুলোর মধ্যে অন্যতম। এ গ্রন্থাগারে বর্তমান সংগ্রহ সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন লাখ, যার মধ্যে রয়েছে বিরল বই, জার্নাল, অডিও-ভিজ্যুয়াল উপাদান, পাণ্ডুলিপি ও অন্ধদের জন্য ব্রেইল বই।

বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও রয়েছে তিনটি জাদুঘর। ১৯৭৩ সালের ১৪ জুন, মধ্যযুগের চারটি কামান নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরের কার্যক্রম শুরু হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর ভবনটি পাঁচটি গ্যালারিতে বিভক্ত, যেখানে রয়েছে প্রাগৈতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক গ্যালারি, ভাস্কর্য গ্যালারি, ইসলামিক আর্ট গ্যালারি, লোকশিল্প গ্যালারি ও সমসাময়িক আর্ট গ্যালারি। এ ছাড়া রয়েছে প্রাণিবিদ্যা জাদুঘর ও সমুদ্র সম্পদ জাদুঘর।

প্রাণিবিদ্যা জাদুঘরে প্রায় ৫৪০টি নমুনা সংরক্ষিত রয়েছে। হাঙ্গর থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক মাছ, আজব বাণাকেল, অক্টোপাস, শামুক, বিভিন্ন প্রজাতির সাপসহ রয়েছে। জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণে গড়ে তোলা হয়েছে চবির সমুদ্র বিজ্ঞান জাদুঘর।

জীববৈচিত্র‍্যে সমৃদ্ধ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। কাটা পাহাড় রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে কখনও দেখা মেলতে পারে মায়া হরিণের লুকোচুরি। মাঝে মধ্যে আসামি বানরের লাফালাফি দেখে অনেকেই মুগ্ধ হয়ে মুঠোফোন হাতে তা বন্দি করে রাখেন।

প্রাণীদের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত এ ক্যাম্পাসে আছে প্রায় ২৫০ প্রজাতির দেশীয় পাখি। কখনও হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ অতিকায় অজগর কিংবা সাপ থেকে বিস্মিত না হয়ে উপায় থাকে না। মাঝেমধ্যে দেখা মিলতে পারে শুকর, বানর, সজারু, বনমোরগ, বনরুইসহ নানা প্রজাতির প্রাণীর।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়নাভিরাম রোডগুলোর একটি হলো ফরেস্ট্রি রোড। বিভিন্ন ঋতুতে মনোমুগ্ধকর রূপ ধারণ করে এই রোড। দুই পাশে সারি সারি গাছ, নিঝুম দুপুরে এই রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলার সময় শোনা যায় পাখির ডাক। ৫০ একর ভূমির ওপর প্রতিষ্ঠিত ফরেস্ট্রি এরিয়া সৌন্দর্যের এক অনন্য নিদর্শন, যেখানে রয়েছে হেলিপ্যাড, লেক, সুইমিংপুল, মেমোরিয়াল গার্ডেন ইত্যাদি।

শিক্ষার্থীদের খেলার জন্য রয়েছে বিশাল এক খেলার মাঠ। বিকেলে কেন্দ্রীয় এ মাঠে খেলে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। গোধূলিবেলায় সূর্যাস্তের সময় মাঠের সবুজ মোহিনীয় আবেশ তৈরি করে।

প্রতিটি ঋতুতেই রূপ বদলায় এ ক্যাম্পাস। গ্রীষ্মে রুক্ষ, বর্ষার বৃষ্টিতে নজর কাড়া সবুজ-সতেজ, শরতের সাদা মেঘ ও কাশ ফুলের দেখা, হেমন্তের সোনালি ধান, ঋতুরাজ বসন্তে ফোঁটা ফুল কিংবা শীতের সাদা চাদরে আবৃত হওয়া সবই প্রত্যক্ষ করতে পারেন এখানের শিক্ষার্থীরা।

দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে আছে বোটানিক্যাল গার্ডেন, বঙ্গবন্ধু উদ্যান, কলা ফ্যাকাল্টির পেছনের ঝরনা, ঝুলন্ত ব্রিজ, চালন্দা গিরিপথ, জীববিজ্ঞান অনুষদ পুকুর, প্যাগোডা, স্লুইচ গেট, ভিসি হিল, টেলিটক হিল, হতাশার মোড়, দোলা সরণি।

চবিতে আরও রয়েছে জয় বাংলা ভাস্কর্য, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভ, স্বাধীনতা স্মৃতি ম্যুরাল, স্মরণ স্মৃতিস্তম্ভ, মাস্টার দা সূর্যসেন স্মৃতিস্তম্ভ, বঙ্গবন্ধু চত্বর।

অর্জনেও পিছিয়ে নেই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা। দেশ-বিদেশে দ্যুতি ছাড়াচ্ছেন সাবেকদের অনেকেই। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক বিশ্বখ্যাত ভৌতবিজ্ঞানী প্রফেসর ইমেরিটাস জামাল নজরুল ইসলাম। নোবেলজয়ী ব্যক্তিত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূসও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তার হাতে গড়া গ্রামীণ ব্যাংক এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী জোবরা গ্রাম থেকেই যাত্রা শুরু করে।

সাহিত্যিক আবুল ফজল, ইতিহাসবিদ ড. আবদুল করিম ও ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য। এ ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, ঢাকা উত্তরের সাবেক সিটি মেয়র প্রয়াত আনিসুল হকের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ছিলেন।

অন্যদিকে সাহিত্যিক সৈয়দ আলী আহসান, আনিসুজ্জামান, আহমদ শরীফ, চিত্রশিল্পী মর্তুজা বশীর, চিত্রশিল্পী রশিদ চৌধুরী, সাহিত্যিক হুমায়ুন আজাদের মতো ব্যক্তিত্বরাও এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। ২০১১ সালে ব্যাঙের নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করে ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছেন তরুণ বিজ্ঞানী সাজিদ আলী হাওলাদার। তিনিও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী।

র‌্যাঙ্কিংয়ে ওপরে যাওয়াই এখন প্রধান লক্ষ্য: উপাচার্য

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে সামনে রেখে দেয়া বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘আমাদের এখন প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে র‌্যাঙ্কিংয়ে ওপরের দিকে যাওয়া ও গবেষণা বাড়ানো। আমরা বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এ লক্ষ্যে চুক্তি করেছি, আমাদের ছাত্র-শিক্ষকবৃন্দ যাতে সেখানে যেতে পারে। আমরা গবেষণায় আমাদের বরাদ্দ বাড়িয়েছি। শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

‘আমাদের শিক্ষার্থীরা পাস করে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সব ক্ষেত্রে মেধার স্বাক্ষর রাখছেন। গবেষণায়ও আমাদের শিক্ষকরা ওপরের দিকে আছেন। আমরা দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে যাচ্ছি, যারা দেশের উন্নয়নে কাজ করবে। আমাদের বিজ্ঞান মেলা হচ্ছে, গবেষণা মেলা হচ্ছে। আমাদের কৃতী গবেষক আছে, কিন্তু তাদের গবেষণা সঠিক জায়গায় পৌঁছাচ্ছে না, যেখান থেকে র‌্যাঙ্কিং নির্ধারণ করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘ছাত্রদের সংকট নিরসনে আমরা নতুন তিনটি হল খুলে দিয়েছি। পরিবহন সংকট নিরসনে আমরা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। নতুন ট্রেনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যেটি মন্ত্রণালয়ে পাস হলে আমরা নতুন ট্রেন পাব।

‘সমাবর্তনের জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে সময় চেয়েছি। সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে সমাবর্তন হতে পারে।’

কর্মসূচি

দিবসটি উদযাপনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সেজেছে বর্ণিল সাজে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও স্থাপনাগুলোতে করা হয়েছে আলোকসজ্জা। সাবেক ও বর্তমানদের নিয়ে উদযাপনে নেয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি।

শনিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিবসের কার্যক্রম। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অপর্ণের পর সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে হবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে।

কেক কাটার পর বেলা ১১টার দিকে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ও চবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মো. আবদুল করিম।

অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি ও চবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক শামসুল ওয়ারেসকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।

এ বিভাগের আরো খবর