বাজারে সারি সারি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। তবে কাকিলা (কাইক্কা) মাছের দিকে আকর্ষণ ক্রেতাদের।
সচরাচর ছোট ছোট ওজনের কাকিলা মাছ বাজারে পাওয়া গেলেও এবার একেকটা কাকিলার ওজন পাঁচ থেকে ছয় কেজি। ফলে দামাদামি চলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। অবশেষে ৯০০ টাকা কেজি দরে বিশালাকৃতির মাছগুলো বিক্রি হয়েছে।
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর মাছ বাজারে শুক্রবার বিকেলে উঠেছিল বিশাল আকারের কাকিলা মাছ।
স্থানীয়রা জানান, প্রতি শুক্রবার সাপ্তাহিক হাটের দিনে বাজারটি সরগরম থাকে। দূরদূরান্ত থেকে লোকজন আসে মাছ, তরকারিসহ বিভিন্ন জিনিস কিনতে। বিভিন্ন মাছের সঙ্গে মাঝেমধ্যে বিলুপ্তপ্রায় ছোট কাকিলা মাছ পাওয়া গেলেও শুক্রবার বিকেলে বেশ কয়েকটি বিশাল আকৃতির কাকিলা মাছ পাওয়া যায়। এটি দেখে অবাক হন ক্রেতারা। ফলে মাছ বাজারে ক্রেতাদের ভিড় জমে যায়। দীর্ঘক্ষণ চলে দামাদামি।
মাছ কিনতে যাওয়া সানোয়ার হোসেন নামের একজন বলেন, ‘এত বড় আকৃতির কাইক্কা মাছ এই প্রথম দেখলাম। দাম বেশি হওয়ায় ইচ্ছে থাকা স্বত্বেও কিনতে পারিনি।’
বড় আকৃতির একটি কাকিলা মাছ কিনেছেন শিহাব উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘গিয়েছিলাম অন্য মাছ কিনতে। হঠাৎ করে এত বড় কাইক্কা মাছ দেখে অবাক হই। আমার ছেলেমেয়েসহ পরিবারের কেউ এমন বিশাল কাইক্কা মাছ কখনো দেখেনি। তাই অনেক দামাদামির পর ছয় কেজি ওজনের একটি মাছ ৯০০ টাকা কেজি দরে কিনেছি।’
মাছ ব্যবসায়ী মো. সুরুজ মিয়া বলেন, ‘কয়েকটি বড় কাকিলা মাছ চট্টগ্রাম থেকে নিয়ে এনেছিলাম। প্রত্যেকটির ওজন ছিল পাঁচ থেকে ছয় কেজি। এক এক করে সবগুলোই বিক্রি হয়েছে। এতে আমিও লাভবান হয়েছি, ক্রেতাও খুশি।’
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা দীলিপ কুমার সাহা বলেন, ‘একসময় নদী-নালা, হাওর-বাঁওড় ও খাল-বিলে পাওয়া যেত কাকিলা মাছ, কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতা এবং প্রজনন সমস্যায় হারিয়ে যেতে বসেছে পুষ্টিসমৃদ্ধ এই মাছটি।
‘ফলে বিলুপ্তপ্রায় এই মাছটি সব জায়গায় সচরাচর পাওয়া যায় না। এটি মূলত শিকারি মাছ। বাংলাদেশে যে জাতটি পাওয়া যায় সেটি মিঠা পানির জাত।’