বাংলাদেশের উপকূলের কাছাকাছি আসা ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বরিশালের ঝালকাঠিতেও।
বৃহস্পতিবার সন্ধা থেকে গুরি গুরি বৃষ্টি হলেও শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয় টানা ভারি বৃষ্টি এবং থেমে থেমে বাতাসের ঝাপটা।
১২ ঘন্টার টানা বৃষ্টি এবং জোয়ারে বেড়েছে ঝালকাঠি সকল নদীর পানি। তবে ঝালকাঠির নদীতীরের মানুষেরা আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চাচ্ছেন না। ভিটেবাড়ি ও গবাদিপশু ছেড়ে যাবেন না বলে নিজ নিজ ঘরেই রয়েছেন সেখানকার বেশির ভাগ মানুষ।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আশ্রাফুল হক বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের আজই আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বাধ্য করা হবে। ইতোমধ্যে আমরা বেশ কিছু গবাদিপশু নিরাপদে উঁচু স্থানে স্থানান্তর করেছি।’
ঝালকাঠির পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া মানুষদের বসতঘরের মালামাল যাতে লুণ্ঠিত না হয়, সেদিকে পুলিশ কড়া নজর রাখবে।’
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জেলায় ৭টি কন্ট্রোলরুম, ৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র, ৩৭টি মেডিক্যাল টিম, ফায়ার সার্ভিসের ৩টি উদ্ধারকারী দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম।
ডিসি আরও জানান, নগদ ৩ লাখ ২৩ হাজার টাকা, ৩৫০ টন ত্রানের চাল বিতরণের জন্য মজুদ আছে। পাশাপাশি শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও স্বেচ্ছাসেবক টিমও প্রস্তুত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায়।
অন্যদিকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে না চাওয়া ঝুকিপুর্ণ এলাকার মানুষদের নিরাপত্বার স্বার্থে নিরাপদ স্থানে সরতে বাধ্য করা হবে বলেও জানান সংস্লিষ্ট কর্মকর্তারা। দ্রুত সাইক্লোন সেল্টারসহ আশ্রয়গুলোতে লোক নেয়ার জন্য সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন ডিসি।