ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা এবং কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঝড়ের কারণে চার সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত নামিয়ে চার বন্দর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।
মিধিলি নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আট নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘মিথিলি’-এ পরিণত হয়েছে। এটি আজ (১৭ নভেম্বর ২০২৩) ভোর ছয়টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।”
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝড়বৃষ্টি নিয়ে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।
‘ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
‘উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।’