বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কার সঙ্গে সংলাপ, স্পষ্ট করতে বলল আওয়ামী লীগ

আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, ‘বিএনপির সঙ্গে যে সংলাপ হতে পারে না, সেটা আমাদের শীর্ষ নেতারা বারবার পরিষ্কার করেছেন।’

যুক্তরাষ্ট্রের সংলাপের আহ্বানের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে সরকারের কোনো আপত্তি নেই। তবে কার সঙ্গে সংলাপ- এই প্রশ্নটি শুধু আমার নয়। আওয়ামী লীগের আপামর নেতা-কর্মীর। তারা জানতে চান- কার সঙ্গে সংলাপের কথা বলা হচ্ছে?’

আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বলছেন, গণতান্ত্রিক রীতি-নীতিতে আলাপ-আলোচনাই যেকোনো জটিলতা নিরসনের শ্রেষ্ঠ উপায়। আওয়ামী লীগ সবসময় আলোচনায় বিশ্বাসী। রাজনীতির ময়দানে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু যারা রাজনৈতিক দলের চরিত্র এবং বৈশিষ্ট হারিয়েছে তাদের সঙ্গে কোনোভাবেই সংলাপ হবে না। যারা সংলাপের কথা বলছেন, তাদের কাছে আওয়ামী লীগের আহ্বান- কাদের সঙ্গে সংলাপের কথা বলা হচ্ছে, সেটা স্পষ্ট করুন। কৌশলের কোনো ফাঁদে আওয়ামী লীগ পা দেবে না।

দলটির শীর্ষ ও মাঝারি পর্যায়ের একধিক নেতা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের নামে যদি বিএনপির সঙ্গে সংলাপের কথা বলা হয়, তাহলে সেটা সম্ভব নয়। কেননা বিএনপি কোনো বিচারেই আর রাজনৈতিক দল নয়; তারা সন্ত্রাসী দল। কানাডার আদালত সেটা আগেই রায় দিয়েছে। এবার ২৮ অক্টোবর পিটিয়ে পুলিশ হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাড়ি ভাঙচুর, বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ, সাংবাদিক নির্যাতন এবং পরবর্তী সময়ে আন্দোলনের নামে গাড়িতে আগুন দিয়ে বিএনপি প্রমাণ করেছে, তারা রাজনীতি করে না, সন্ত্রাস করে। রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তাদের আস্থা, বিশ্বাস- কোনোটাই নেই।’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং আন্তর্জাতিক বিষয় দেখাশোনার দায়িত্বে নিয়োজিত অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ফারুক খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু স্পষ্ট করা হয়নি কার সঙ্গে কার আলোচনা চায় তারা। আমি শুধু এটুকু বলতে পারি, আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক দল, আলাপ-আলোচনায় আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু যারা সন্ত্রাস করছে, রাজপথে পিটিয়ে পুলিশ মেরেছে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করছে, তারা রাজনৈতিক দল নয়, তারা সন্ত্রাসী। যুক্তরাষ্ট্রে এমন কিছু ঘটলে তারা অবশ্যই আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে দোষীকে শাস্তি দিত, আলোচনায় বসত না। বাংলাদেশেও সেটাই হবে।’

প্রসঙ্গত, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মতবিরোধ নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের প্রধান তিন রাজনৈতিক দলকে শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। চলতি সপ্তাহে তার চিঠি আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে পৌঁছে দিয়েছেন ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

অবশ্য এর আগেই শাসক দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘২৮ অক্টোবরের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পর বিএনপির সঙ্গে সংলাপের দরজা বন্ধ হয়ে গেল।’

গত ৩১ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রশ্ন সরাসরি নাকচ করে দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এই যে মানুষগুলো হত্যা হলো, তাকে (পিটার হাস) প্রশ্ন করল না কেন। হিরো আলমকে নিয়ে কথা বলে। খুনিদের সঙ্গে আবার কীসের বৈঠক, যারা এভাবে মানুষ হত্যা করতে পারল, তাদের সঙ্গে কীসের ডায়লগ? সে (পিটার হাস) বসে ডিনার খাক। বালাদেশি মানুষ বিএনপি-জামায়াতকে ঘৃণা করে।’

আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, ‘বিএনপির সঙ্গে যে সংলাপ হতে পারে না, সেটা আমাদের শীর্ষ নেতারা বারবার পরিষ্কার করেছেন।’

দলটির সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তাদের আলোচনার জন্য ডেকেছিলেন, কিন্তু তারা আসেননি। তিনি ফোন করেছেন, অথচ তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে মারা যাওয়ার খবর পেয়ে তাকে সান্ত্বনা দিতে গেছেন, তার মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। খালেদা জিয়ার আরেক ছেলে তারেক রহমান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড মেরে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। যার স্বীকারোক্তি স্বয়ং ওই মামলার ফাসির আসামী মুফতি হান্নান দিয়ে গেছেন।’

কামরুল বলেন, ‘মৃত্যু পথযাত্রী মানুষ কখনও মিথ্যা কথা বলেন না। মুফতি হান্নান বলেছেন, তারেক রহমানের পরিকল্পনায় এবং সার্বিক সহযোগিতায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটেছিল। যে হত্যা করতে চায়, তার সঙ্গে কি কেউ কোনোদিন আলোচনা করতে পারে বা তার নেতৃত্বাধীন দলের সঙ্গে? যে কারণে আমরা পরিষ্কারভাবে জানতে চাই, ঠিক কাদের সঙ্গে সংলাপের কথা বলা হচ্ছে?’

এ বিভাগের আরো খবর