হাইকোর্টের বিচারপতিকে নিয়ে অশালীন মন্তব্যের কারণে দেয়া এক মাসের সাজা ভোগ শেষে মুক্ত হয়েছেন দিনাজপুর পৌরসভার সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় দিনাজপুর জেলা কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। পরে তিনি একটি মোটরসাইকেলে চলে যান।
দিনাজপুর কারাগারের জেল সুপার নুরশেদ আহমেদ ভুইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দিনাজপুর পৌরসভায় টানা তিনবারের মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম কেন্দ্রীয় বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
এর আগে, ১৮ অক্টোবর দিনাজপুরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পন করেন। পরে বিচারক জাহাঙ্গীর আলমকে এক মাসের কারাভোগের জন্য কারাগারে প্রেরণ করেন। ৩১ অক্টোবর স্থানীয় সরকার বিভাগ তাকে মেয়রের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
গত ৩ আগস্ট দিনাজপুরে বিএনপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালনকালে পৌর মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম তার বক্তব্য দেয়ার সময় বেগম খালেদা জিয়ার মামলায় হাইকোর্টে রায়দানকারী বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেন এবং বিচারের রায় নিয়েও অবমাননাকর মন্তব্য করেন। মেয়রের এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হয়। বিষয়টি নজরে আসায় তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের চার আইনজীবী। গত ২৪ আগস্ট তলব আদেশে হাজির হয়ে বিচারপতিকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করার ঘটনায় আপিল বিভাগে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম। পরে ১২ অক্টোবর মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের উপস্থিতিতে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ শুনানি করে ১ মাসের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ সপ্তাহের কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করে।