বাম গনতান্ত্রিক জোট ও গণতন্ত্র মঞ্চ ও সমমনা দলগুলোর ডাকা বৃহস্পতিবারের সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হরতালের সমর্থনে নারায়গণগঞ্জের দুটি সড়কে মিছিল করেছে দলগুলোর নেতাকর্মীরা। সকালে বঙ্গবন্ধু সড়কে দুই নং রেল গেইট এলাকা থেকে বাম গনতান্ত্রিক জোটের একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি আহাম্মদ চুনকা নগর পাঠাগারের সামনে গেলে নেতাকর্মীরা পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। ওই সময় পুলিশ তাদের লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় অনন্ত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পরে তাদেরকে নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়।
আহতদের মধ্যে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ব্যানার কেড়ে নিয়ে বিনা উসকানিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ৷ এতে আমাদের অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন৷ আমি সহ আহত সবাই আমরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি।’
একই সময় নবাব সিরাজউদ্দৌলা সড়কে মিছিল করে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীরা। তবে পুলিশ আসার আগেই কালির বাজার এলাকায় মিছিলটি শেষ করে দেয় নেতাকর্মীরা।
এদিকে বিএনপি-জামায়াতের পঞ্চম দফার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের শেষ দিনে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ঝটিকা মিছিল করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে অবরোধকারীরা।
বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর চানমারি নতুন রাস্তা এলাকায় মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা রাস্তায় আগুন ধরিয়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। তবে পুলিশ আসার আগেই তারা ঘটনাস্থল থেকে সড়ে পরে।
একই দিন সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের চৌধুরী বাড়ি এলাকায় অবরোধের সমর্থনে মিছিল করতে জড়ো হয় জামায়াতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। এ সময় সড়কে নাশকতার চেষ্টার অভিযোগ পুলিশ ১৬ কর্মীকে আটক করে।
সিদ্বিরগঞ্জ থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘সকালে অবরোধের নামে সড়কে নাশকতা করতে আসা জামায়োতের ১৬ জন কর্মীকে আটক করা হয়েছে। তাদের পদ-পদবীসহ বিভিন্ন বিষয়ে তদন্ত চলছে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম ও সিলেট মহাসড়কে যাত্রীবাহি ও পণ্যবাহি যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোনো গাড়ি। সড়ক-মহাসড়কের বিশৃঙ্খলা এড়াতে মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পুরো জেলা জুড়ে ৩২টি স্থানে পুলিশের রিজার্ভ ফোর্স ও ৪৬টি টহল টিমসহ র্যাব ও বিজিবি সদস্যরা কাজ করছে বলে জানান নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল।