খুলনার মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের ইমারজেন্সি মেডিক্যাল অফিসার ফরহাদ হোসেন পাভেল। ১৩ নভেম্বর তার ইমারজেন্সিতে ডিউটি থাকলেও তিনি তার ডিউটি অন্য এক ডাক্তারের সঙ্গে সমন্বয় করেছিলেন। ১৪ নভেম্বর তারিখে তার ডিউটি না থাকাতে হাসপাতালে কেউ তার বিষয়ে কোনো খোজ নেননি। বুধবার, ১৫ নভেম্বর তিনি কর্মস্থলে না আসাতে বিষয়টি হাসপাতালে সবার দৃষ্টিগোচর হয়। খোজ নিতে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইমারজেন্সি মেডিক্যাল অফিসারের রুমে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি খুঁজে পায়।
চাকরির কারণে পরিবার থেকে দূরে থাকায় তার পরিবারের সদস্যরাও এ বিষয়ে কিছু বলতে পারেনি। তার খোঁজ না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তার পরিবার থেকেও জানানো হয় তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি পাভেলের।
এরপর তার পরিবার এবং মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপার সহ ডিএসবি, ডিবি ও এনএসআইকে জানায়।
এ বিষয়ে জানতে মেহেরপুর সদর থানায় যোগাযোগ করলে থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টা মিসিং বলা ভুল হচ্ছে। উনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত। মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি সম্পর্কে বলা যাবে।’
১৩ নভেম্বর থেকে নিখোঁজের তিন দিন পর নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে অচেতন অবস্থায় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের ইমারজেন্সি মেডিক্যাল অফিসার ফরহাদ হোসেন পাভেলকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার রাত ১১টার দিকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানতে পারে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফরহাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মেহেরপুরের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. জমির মো. হাসিবুর সাত্তারের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন, ‘ইমারজেন্সি মেডিক্যাল অফিসার ফরহাদ হোসেন পাভেলের মিসিংয়ের বিষয়টি অবগত হওয়ার মাত্র আমরা তার পরিবারসহ পুলিশ সুপার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করি। পরে তার সন্ধান পাওয়া গেছে। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে অচেতন অবস্থায় পেয়ে মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমি নেত্রকোণা সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা বলেছি। সেখানকার চিকিৎসকরা মনে করছেন তাকে নেশা জাতীয় কোনো দ্রব্য খাওয়ানো হয়েছে। তবে ফরহাদ হোসেন এখনো অচেতন থাকাতে কীভাবে তিনি ওখানে গেলেন বা তার সঙ্গে কী হয়েছিল এ নিয়ে তার কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।’