মানিকগঞ্জের শিবালয়ে বাজারের নৈশপ্রহরীদের হাত-পা ও মুখ বেঁধে জুয়েলারি দোকানসহ দশ দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বাজারের চার নৈশপ্রহরী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার গভীর রাতে শিবালয় উপজেলার যমুনা নদীর তীরবর্তী তেওতা ইউনিয়নের জাফরগঞ্জ বাজারের এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাসীয়দের দাবি প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল লুঠ করা হয়েছে।
আহতরা হলেন নৈশপ্রহরী রফেদ আলী, আক্কাস আলী, শামসুল হক ও দিরাজ মিয়া।
নৈশপ্রহরী আক্কাস আলী বলেন, ‘ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকা নিয়ে রাত ২টা থেকে ৩টার দিকে ৩০ থেকে ৩৫ জন লোক জাফরগঞ্জ বাজারে আসে। তাদের (ডাকাত) দেখে এগিয়ে গেলে তারা (ডাকাতরা) আমাদের চারজনকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে বাজারের একটি বিস্কুট (বেকারী) কারখানায় আটক করে রাখেন। এরপর বাজারের জুয়েলারী, মুদি দেকান ও মোবাইলের লোডের দোকানসহ ছোট-বড় দশটি দোকানের টাকা-পয়সা ও মালামাল ডাকাতি করে চলে যায়।’
বাজারে বিভিন্ন দোকানে ডাকাতি করতে ডাকাতদের এক ঘন্টার মতো সময় লাগে বলেও জানান আক্কাস আলী।
অমৃত জুয়েলার্সের কর্মচারী শুভ হালদার বলেন, ‘লোকজনের শব্দ পেয়ে দোকানের বাহিরে আসলে ডাকাতরা আমাকে মেরে ফেলার ভয় দেখায় এবং আমাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখেন। প্রাণের ভয়ে আমি কাউকে ডাকতে পারি নাই। ডাকাতরা চলে যাওয়ার পর আশপাশের লোকজন ও মালিককে জানাই।’
জুয়েলারী মালিক সুভাষ মালাকারের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, ডাকাতরা আমাদের জুয়েলারী দোকানের তালা ভেঙে দোকানের ভেতর থেকে ছয় ভরি র্স্বণ ও ৭০০ ভরি রুপা এবং ক্যাশে থাকা প্রায় ৪০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। এছাড়া আরও দুটি জুয়েলারি দোকান, মোবাইল লোডের দোকান ও মুদি দোকোনে ডাকাতি হয়েছে। এক রাতের ভেতরে আমাদের বাজার থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা।’
এ বিষয়ে শিবালয় থানার ওসি শাহ নূরে আলম বলেন, ‘খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলাও হয়েছে। থানা পুলিশের পাশাপাশি সিআইডি ও পিবিআই কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ডাকাতরা মানিকগঞ্জের বাহিরের। এ কারনে ট্রলার নিয়ে এসেছে এবং ডাকাতি করে চলে গেছে।’