বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গৃহবধূর মুখে জোর করে বিষ ঢেলে হত্যাচেষ্টা

  • প্রতি‌নি‌ধি, মাদারীপুর   
  • ১৫ নভেম্বর, ২০২৩ ১৭:৫৩

কান্নাজড়িত কণ্ঠে নাজমার মা তাহমিনা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মস্তফা ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।’

মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের মাছকান্দি গ্রামে নাজমা আক্তার নামে এক গৃহবধুকে জোর করে মুখে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুড় বাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে।

এ নিয়ে মঙ্গলবার রা‌তে মাদারীপুর সদর থানায় নিহত ৩০ বছর বয়সী নাজমার স্বামী মস্তফা মুন্সিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর নাজমার শ্বশুড় বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের মাছকান্দি গ্রামের গৃহবঁধু হত্যার এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের মাছকান্দি গ্রামের ৩৫ বছর বয়সী মস্তফা মুন্সির সঙ্গে দুধখালি গ্রামের নাজমা আক্তারের বছর দশেক আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য সংসারে অশান্তি ছিল। অশান্তির জের ধরে কয়েক বছর আগে আদালতে মামলাও হয়। পরে সন্তানের কথা চিন্তা করে মামলা তুলে নিয়ে আবার সংসার শুরু করে নাজমা।

এরপরও সংসারের অশান্তি কমেনি। সোমবার নাজমাকে নির্যাতন করে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। যৌতুকের কারণেই সোমবার নাজমাকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ তুলেছেন নিহতের পরিবার।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে নাজমার মা তাহমিনা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মস্তফা ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।’

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. নুরুল ইসলাম জানান, মরদেহ ময়না তদন্ত হয়েছে। রিপোর্টে পাওয়ার পর জানা যাবে নাজমা কীভাবে মারা গেছে।

মাদারীপুর সদর থানার ওসি সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এই ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর