সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউ (ইউপিআর)-এ মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় ৯০ ভাগ দেশ বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে বলে জাানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
সোমবার ইউপিআর-এর চতুর্থ পর্যালোচনা বৈঠকে অংশ নেন আইনমন্ত্রী। পরে এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান। আনিসুল হকের নেতৃত্বে ওই পর্যালোচনায় বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, পর্যালোচনায় অংশ নেয়া ১১১টি দেশের মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগ দেশ বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি-অগ্রগতির প্রশংসা করেছে। কয়েকটি দেশ কিছু সুপারিশ করেছে, তাদের কিছু সমালোচনাও ছিল। স্লোভাকিয়া এবং কানাডা তার অন্যতম। তবে তাদের সমালোচনাও খুব জোরাল ছিল না। বাকিরা সমালোচনা নয় বরং প্রশংসা করেছেন।
আনিসুল হক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, বেলজিয়াম- অনেক ক্ষেত্রে আমাদের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন-অগ্রগতির প্রশংসা করেছে। তারা অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কথা বলেছে। সেক্ষেত্রে আমি নির্বাচনের ব্যাপারে অত্যন্ত স্পষ্টভাবে আমাদের অবস্থান জানিয়েছি। আমরা বলেছি যথাসময়ে নির্বাচন হবে।
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন প্রশ্নে বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সুপারিশের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা যে সাজেশন্স পেয়েছি সেগুলো পরীক্ষা করবো। আমরা সুপারিশগুলোর বিষয়ে আমাদের মতামত জানাবো। দু’চারদিনের মধ্যে পুরো সুপারিশগুলো আমরা পাবো।
ইউপিআরে আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে সংলাপের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, সংলাপের বিষয়ে কোনো কথা আসেনি।
দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএনপি-জামায়েতের ভূমিকা প্রসঙ্গে ইউপিআরে দেয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত কী করছে আমরা সেটা বলেছি। আমি মনে করেছি, এটা বলা সরকারের পক্ষ থেকে ন্যায্য। আমাদের যে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা সেটা আমি পরিস্কারভাবে তুলে ধরেছি।