মানিকগঞ্জের সিংগাইরে এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় রোকমান হোসেনে টোনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে মানিকগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম তানিয়া কামাল এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৩৫ বছর বয়সী রোকমান হোসেন টোনা মানিকগঞ্জের সিংগাইরের বড় কালিয়াকৈর এলাকার বাসিন্দা।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর রাতে মানিকগঞ্জের সিংগাইরের গোলাইডাঙ্গা বাস্তা এলাকায় ৪৫ বছর বয়সী এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের পর বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায় রোকমান হোসেন টোনা। মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে মা চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে এবং ধাওয়া করে রোকমান হোসেনকে আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দেন স্থানীয়রা।
ঘটনার পরের দিন ৬ ডিসেম্বর নিহতের ভাবি রোকমান হোসেন টোনাকে আসামি করে সিংগাইর থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিংগাইর থানার ইন্সপেক্টর আব্দুস সাত্তার আসামিকে অভিযুক্ত করে ২০২০ সালের ১৮ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। উভয়পক্ষের আইনজীবীর যুক্তিতর্ক শেষে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামির উপস্থিতিতে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ. কে. এম নূরুল হুদা রুবেল রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘আটকের পর আসামি বিভিন্ন সময় জামিনে ছিলেন। সর্বশেষ জামিনের আবেদন করলে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। রায়ে বিচারক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড অর্থাৎ আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করেছেন।’