বিএনপি এ দেশের পরাজিত শক্তির মুখপাত্র বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান-খালেদা জিয়া উভয়ই তাদের মন্ত্রিসভায় স্বাধীনতাবিরোধীদের স্থান দিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার দুপুরে কামরাঙ্গীরচরে শহীদ মিনার মাঠে ১৪ দল আয়োজিত শান্তি সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আমু বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা পাক হানাদার বাহিনীর পক্ষ নিয়ে সরাসরি গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল জিয়াউর রহমান তাদেরকে দিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন। তাদেরকে দিয়ে দল গঠন করেছেন। একইভাবে খালেদা জিয়া নিজামী, মুজাহিদদেরকে দিয়ে দল গঠন, মন্ত্রিসভা গঠন করেছে।পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের সংসদে বসিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তারা প্রমাণ করেছে তারাই এদেশের পরাজিত শক্তির মুখপাত্র। তারাই বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িত। আজকে সে অপশক্তি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
১৪ দলের আহ্বায়ক বলেন, বাংলাদেশ একটি আমদানি নির্ভর দেশ। সে কারণে করোনা অতিমারি এবং ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে এদেশে প্রতিটি দ্রব্যের মূল্য কিছুটা বেড়েছে। বিদেশে দাম বৃদ্ধির কারণে আমাদের দেশে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গিয়েছে। কিছুটা অসুবিধার মধ্যে পড়লেও দেশের কোনো মানুষ এখন না খেয়ে থাকে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আসন্ন নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে আমু বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের ভরাডুবি হবে জেনে তারা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। শেখ হাসিনার বিকল্প কোনো নেতৃত্ব নেই এই দেশে। ষড়যন্ত্র শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নয়, বিএনপি ষড়যন্ত্র করছে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে। তাই আগামী দিনে শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করে আমরা এই দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা বজায় রাখবো। ১৪ দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট বেঁধে নির্বাচনে অংশ নেবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই দেশের তৃণমূল থেকে গঠিত একটি দল। তারা দেশের মানুষের হৃদস্পন্দন বুঝতে পারে। তাইতো মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে আজকে ইসরাইলের হামলার বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা কথা বলেছেন। যেখানে বিএনপি ইসরাইলকে সমর্থন করছে।
সব ষড়যন্ত্র শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নয় মন্তব্য করে আমির হোসেন আমু বলেন, ১৫ আগস্ট যে নির্মম হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছিল, বঙ্গবন্ধু ও তার সমস্ত পরিবারকে হত্যার মধ্য দিয়ে সে হত্যাকাণ্ড যেমন একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ছিল না। তেমনি বর্তমান সব ষড়যন্ত্রও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নয়। এই ষড়যন্ত্র দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে।
১৪ দলের প্রধান সমন্বয়ক বলেন, আমাদের দেশের মানুষ এখনো দুই বেলা পেট ভরে ভাত খেতে পারে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত যে চিত্র এ দেশে ছিল না। শেখ হাসিনা সরকার এ দেশে খাদ্য নিরাপত্তা দিয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের মধ্য দিয়ে স্বাস্থ্য সেবার নিশ্চয়তা দিয়েছে। যে বাংলাদেশ ছিল দুর্ভিক্ষের দেশ, যে বাংলাদেশ ছিল নিপীড়নের দেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই বাংলাদেশ আজকে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে।
শান্তি সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননসহ ১৪ দলের নেতারা।