কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে স্ত্রীকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা মামলায় স্বামীকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত।
সদুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন মঙ্গলবার এ রায় দেন। সেই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা দণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
দণ্ডাদেশ পাওয়া আসামি আব্দুর রব কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বামবাতাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। প্রাণ হারানো ঝর্ণা বেগম একই উপজেলার কান্দাল গ্রামের শামসুল হকের মেয়ে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর পাবলিক প্রসিকিউটর আইনজীবী প্রদীপ কুমার দত্ত এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আদালত ও মামলার সূত্রে জানা যায়, আবদুর রব ও ঝর্ণা বেগমের ১০ বছরের সংসার ছিল। তাদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে। যৌতুকের জন্য প্রায় ঝর্ণা বেগমকে মারধর করতেন তার স্বামী। ২০১০ সালের ২৯ নভেম্বর রাতে মারধর ও পানিতে ডুবিয়ে ঝর্ণা বেগমকে হত্যা করা হয়। ৩০ নভেম্বর ঝর্ণা বেগমের বাবা বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় জামাতা আবদুর রবের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শাহজাহান ২০১১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
আসামির অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ফাঁসির আদেশ দেন। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী জাকির হোসেন।