ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে টানা দুই সপ্তাহের শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা সাভার-আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের প্রায় সব কারখানা মঙ্গলবার খুলে দেয়া হয়েছে।
সংকট কাটিয়ে শিল্পাঞ্চল সাভার ও আশুলিয়ার কারখানাগুলোতে শুরু হয়েছে উৎপাদন কাজ, তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও নিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন কারখানার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর (এসপি) পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের ইউনিক, বাইপাইল, শিমুলতলা, জামগড়া, ছয়তলা, নিশ্চিন্তপুর, নরসিংহপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সব কারখানাতে প্রবেশ করছেন শ্রমিকরা।
শ্রমিরা জানান, তাদের কারখানায় কোনো আন্দোলন ছিল না, তবে শেষের দিকে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে বসে ছিল। বহিরাগতরা তাদের কারখানায় হামলা করেছিল। পরে কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছিল, তবে আজ কারখানা খুলে দেয়ার পর শ্রমিকরা উৎপাদন শুরু করেছে। কারখানায় কোনো ঝামেলা নাই। আগের মতই কাজ করছে সবাই।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, ‘গত ১১ নভেম্বর নিরাপত্তার স্বার্থে শিল্পাঞ্চল সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ের ১৩০টি কারখানা বন্ধের নোটিশ টানিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। যা ২০০৬ সালের ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী বন্ধ ঘোষণা করা হয়, তবে গত দুই দিনে পর্যায়ক্রমে ১২৯টি কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে। যদিও নাবা নিট নামের একটি কারখানা বন্ধ রয়েছে। সেটিও দ্রুত খুলে দেয়া হবে বলে আশা করছি।’
নূন্যতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে টানা দুই সপ্তাহ কাজ বন্ধ করে সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করতে হয়েছে। চলমান অসন্তোষের মধ্যেই সাড়ে ১২ হাজার টাকা সর্বনিম্ন মজুরি ঘোষণা দেয় মজুরি বোর্ড। এই সাড়ে ১২ হাজার টাকা বেতন প্রত্যাখান করে আবারও আন্দোলনে যান শ্রমিকরা। এই আন্দোলনের মুখে শিল্পাঞ্চলের ১৩০ কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মঙ্গলবার কারখানাগুলো খুলে দেয় কর্তৃপক্ষ।